তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানি রোববার
জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুনভাবে এবং নতুন আঙ্গিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি পিছিয়ে। এ নিয়ে শুনানির জন্য রোববার (৭ অক্টোবর) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
সম্পর্কিত খবর
বুধবার (৩ অক্টোবর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ নতুন এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে সোমবার (১ অক্টোবর) সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
রিট নিষ্পত্তি হওয়ার পূর্বপর্যন্ত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা স্থগিত রাখার আবেদনও জানানো হয়েছে। আইন সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, জাতীয় সংসদের সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে বিবাদীদের বিরুদ্ধে সংসদ নির্বাচনের ৪২ দিন আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুনভাবে এবং নতুন আঙ্গিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে রুল জারিরও আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি সে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ওপর নিষেধাজ্ঞা আদেশ দিতে আবেদন করা হয়েছে।
এ ছাড়াও মামলার রুল শুনানি বা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আগের নিয়মে অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের আদেশ দেয়ার বিষয়ে রিটে আবেদন জানানো হয়েছে।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং অনুচ্ছেদ ১১ ও ৬৫(২) অনুযায়ী প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী নির্বাচিত তিনশত সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হবে। কিন্তু বর্তমান জাতীয় সংসদের ১৫৩ জন সংসদ সদস্য প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত নয়। তাই বর্তমান সংসদ ভেঙে দেয়ার নির্দেশনার আরজি জানিয়েছি।
/এসএম