এসপি মিজানের আরও সম্পদের খোঁজে দুদক, ৩৪ সংস্থায় চিঠি

ফাইল ছবি

পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রীর নামে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়ার পর আরও সম্পদের খোঁজে ৩৪ প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

পৃথক চিঠিতে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) কমান্ড্যান্ট মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী নীপা মিজান ও পরিবারের সদস্যদের নাম উল্লেখ করে তাদের সুনির্দিষ্ট তথ‌্য-উপাত্তসহ সংশ্লিষ্ট নথি চাওয়া হয়েছে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ভূমি অফিস, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন, পিপলস লিজিং কোম্পানি, রিহ্যাব, বাংলাদেশ ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, আইসিবি, আইডিএলসি ফিন্যান্স ও এসএমই ফাউন্ডেশনসহ ৩৪ সরকারি ও বেসরকারি সংস্থায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অফিসের প্রধান বরাবর দুদকের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদের সই করা চিঠি ৩০ সেপ্টেম্বর পাঠানো হয়।

বিএনপির সাবেক এমপি নুরুল কবীর গ্রেফতার

৫ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ দুটি মামলা করেন। মামলায় মিজানুর রহমানের নামে প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা ও তার স্ত্রী নীপা মিজানের নামে ২ কোটি ৩২ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এজাহারে মিজানের নামে তার নিজ জেলা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ৯৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার বাড়িসহ ১৩ দশমিক ৮ একর জমি, ঢাকার তেঁজকুনি পাড়ায় ১৮০০ বর্গফুট ও ১৭১৮ বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাট, ঢাকার জুরাইনে একটি দোকান, মিরপুরসহ বিভিন্ন মৌজায় ৩ দাগে ১৫ শতাংশ জমি, উত্তরায় তিন কাঠার প্লটের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

মিজানের নামে ব্যাংকে ৯১ লাখ ১২ হাজার ৫৪৭ টাকা নগদ ও ৭৫ লাখ টাকার এফডিআর, মোল্লা এনপিকেএস লিমিটেড সার কারখানার নামে দুই লাখ টাকার শেয়ারের তথ্য পাওয়া গেছে।

এছাড়া, মেঘনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড, মেসার্স খোয়াজ ফার্টিলাইজার, ফার্ম নেস্ট অ্যান্ড মিল্ক প্রডাক্টস লিমিটেড ও একটি মাইক্রোবাসের মালিকানার প্রমাণ পেয়েছে দুদক।

ইন্টারপোল প্রধান আটক, স্বীকার করলো চীন

নীপা মিজানের নামে মিরপুরের মাজার রোডে তিনতলা ভবনসহ ৫ কাঠার জমি, ২ কাঠা জমিতে দোকান, কেরানীগঞ্জে ২ তলা বাড়িসহ ১০ শতাংশ ও ৬৬ শতাংশ জমি, তেঁজকুনিপাড়ায় ১৮০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, টুঙ্গিপাড়ায় ৫ দশমিক ৩৮ একর জমি এবং ব্যবসায়িক মূলধন ও নগদ অর্থসহ ৭ কোটি ৮ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮৪ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে দুদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা করার পর তদন্ত চলছে। এ পর্যায়ে তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তের স্বার্থে চিঠি দিতে পারেন।

সাভারের হেমায়েতপুরের আলীপুর ব্রিজ সংলগ্ন ৮৪ শতাংশ জমির ওপর বাড়ি তৈরি ও ঢাকার মিরপুরের মাজার রোডের আলমাস টাওয়ারের পাশে আরেকটি বাড়ি নির্মাণে পুলিশের ৬০ সদস্যকে রাজমিস্ত্রির সহকারী বা জোগালির কাজ করানোর অভিযোগ ওঠে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগসহ কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক।

/এসএম