শহিদুল আলমের শাস্তি কেন ‘অবৈধ নয়’, হাইকোর্টের রুল
আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে ভারত থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলায় শাস্তি দেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। শহিদুল আলমের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে কুড়িগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ রুল জারি করেছেন।
মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।
শহীদুল আলমের করা ওই রিট আবেদনে বলা হয়, ছবি তুলতে গিলে কুড়িগ্রাম সীমান্ত থেকে ২০০৯ সালের ১৬ জুন ভারতীয় বিএসএফ তাকে ধরে নিয়ে যায়। এ নিয়ে পতাকা বৈঠকের পর তাকে বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু সে সময় কুড়িগ্রাম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করা হয় (জিআর মামলা নম্বর ২০/২০০৯)।
নিজ দেশে কখনই অনুপ্রবেশ হতে পারে না। তবুও ওই মামলায় তাকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে শাস্তি হিসেবে জরিমানা করা হয়। যা আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ।
উল্লেখ্য, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গত ৫ আগস্ট রাতে দৃক গ্যালারি ও পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ‘উসকানিমূলক ও মিথ্যা’ অপপ্রচারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এ মামলা করে পুলিশ।
মামলায় ৬ আগস্ট তাকে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ড শেষে ১২ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাবন্দি রয়েছেন।
/রবিউল