• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশ:  ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে কোনও ধরনের শঙ্কা কিংবা নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। রোববার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, দুর্গাৎসব জাতীয় বড় উৎসবের মধ্যে একটি। এই উৎসবকে ঘিরে সমন্বিত ও সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে এবার ২৩৪টি সার্বজনীন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে নয়টি সবচেয়ে বড় মন্দির। এগুলো হচ্ছ-ঢাকেশ্বরী মন্দির, রামকৃঞ্চ মন্দির, কলাবাগন মন্দির ও বনানী মন্দির। এর বাইরে সিদ্ধেশ্বরী কালি মন্দির, রমনা কালি মন্দির, উত্তরা সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ, কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট সমাজকল্যাণ সংঘ ও বসুন্ধরা সার্বজনীন পূজা মণ্ডপসহ সব মন্দিরেই কয়েক স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, প্রত্যেকটি মন্দির সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটর করা হবে। প্রবেশকালে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে দর্শকদের প্রবেশ করতে হবে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পূজা উৎসব ঘিরে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে। যেখান থেকে সার্বক্ষণিক ডিউটিতে থেকে পূজা কমিটির নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা বিধান করা হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকার প্রত্যেকটি বড় মন্দিরে স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও ডগস্কোয়াড দ্বারা সুইপিং করা হবে। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরাও কাজ করবেন। যে কোনো ধরনের ছিনতাই ও ইভটিজিংয়ের ঘটনা এড়াতে গোয়েন্দা পুলিশ ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। অনুষ্ঠানস্থলে হকার বসতে ও প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

দশমীর দিনে শোভাযাত্রার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শোভাযাত্রার রুট হবে ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে বেরিয়ে পলাশীর মোড়, জগন্নাথ হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, গোলাপ শাহ মাজার হয়ে, বঙ্গবন্ধু স্কয়ার হয়ে, সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে দিয়ে, নবাবপুর সড়ক দিয়ে রায় সাহেব বাজার মোড়, বাহাদুর শাহ পার্ক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, পাটুয়াটলি হয়ে ওয়াইশঘাটে গিয়ে শেষ হবে। সেখানে বিসর্জন হবে। শোভাযাত্রা ও বিসর্জন ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শোভাযাত্রার সামনে-পেছনে ও মাঝে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমরা পূজা উদযাপন পরিষদের সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠক করেছি। পূজায় সব ধরনের পটকা আতশবাজি, মাদকের ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। নিরাপত্তা সুবিধায় বিজয় শোভাযাত্রায় উচ্চস্বরে বাজনা বন্ধ থাকবে। বিসর্জনের সময় নদীতে নৌ পুলিশ ও ডুবুরি মোতায়েন থাকবে। সার্চলাইটের মাধ্যমে পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

এবার বিসর্জনের দিন পড়েছে শুক্রবার। তাই আজানের সময়, নামাজের সময় বাদ্য-বাজনা বন্ধ থাকবে। ওইদিন বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সকল ধরনের বাদ্য-বাজনা ও পূজার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। পুরো ঢাকা শহরে নিরাপত্তা চেকপোস্ট থাকবে। এজন্য পূজা মণ্ডপে ছুরি, কাচি, পোটলা, ব্যাকপ্যাক না নিয়ে আসার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, কাউকে এসব নিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। শোভাযাত্রার সময় শোভাযাত্রার রুটে অবাঞ্চিত লোক, হকারদের বসতে দেয়া হবে না। চলাচলের ক্ষেত্রে সড়কে ডাইভারশন (নিয়ন্ত্রণ) করা হবে।

/অ-ভি

দুর্গাপূজা,নিরাপত্তা,ঝুঁকি,ডিএমপি,কমিশনার
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close