শেখ হাসিনা সরকারের ধারাবাহিকতা চান সৌদি বাদশাহ
সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে সৌদি বাদশাহ ও দুই পবিত্র মসজিদের হেফাজতকারী সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসামান্য উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা এবং তার (শেখ হাসিনার) সরকারের ধারাবাহিকতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
বুধবার (১৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুরে রিয়াদের রাজকীয় প্রাসাদে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বাদশাহ ও শেখ হাসিনা একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
সম্পর্কিত খবর
পররাষ্ট্রসচিব বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বাদশাহ বলেছেন উন্নয়নের ধারাবাহিকতা দরকার। এতে তো বোঝা যায়, তিনি প্রধানমন্ত্রীর ধারাবাহিকতার কথা বলেছেন। এটা হলে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সৌদি বাদশাহ তিনবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার কথা উচ্চারণ করেন। বৈঠকটি উষ্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাদশাহ নিজে রাজপ্রসাদের প্রবেশ দ্বারে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন। বাদশাহ প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, এটি আপনার ঘর এবং আপনাকে সবসময় এখানে স্বাগতম।
বাদশাহ বলেন, সৌদি আরব ও বাংলাদেশ দু’টি ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ এবং ধর্মের পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন বিষয়ে একই বন্ধনে বাঁধা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাদশার আথিয়েতার জন্য ধন্যবাদ জানালে সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ বলেন, এটা তার দায়িত্ব।
তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক অনেক উন্নত হয়েছে এবং অর্থনীতি, সংস্কৃতি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদারের সুযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
বাদশাহ বলেন, ‘আমরা যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ছি।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এটা অব্যাহত থাকবে এবং এটি দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের জনগণের অভিন্ন আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কাজ করছে উল্লেখ করে এ ক্ষেত্রে তাদের দেখাশোনা করার জন্য সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান। সৌদি বাদশাহ সেদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা সৌদি অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছে উল্লেখ করে বলেন, তাদের দেখভাল করা আমার দায়িত্ব।
প্রধানমন্ত্রী সৌদি বাদশাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাদশাহ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন এবং ‘আমরা এটি কূটনৈতিক পর্যায়ে সম্পন্ন করব বলে জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, বাদশা ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সবসময় মুসলিম উম্মার প্রশ্নে লড়াই করে। বিশেষ করে ফিলিস্তিন ইস্যুতে। এ ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান সবসময় সম্মানজনক এবং এ জন্য আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।’- বাসস
/এসএম