• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

জোটের পরিসর বাড়বে কিনা সিদ্ধান্ত পরে: কাদের

প্রকাশ:  ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১১:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটে অনেকেই আসতে চায় জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জোটে দলের সংখ্যা বাড়বে কিনা সেই সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে বনানী কবরস্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিমধ্যে আমার সঙ্গে জাকের পার্টি দেখা করেছে। সাতদলীয় একটা বাম জোট অফিসে এসে একটা আবেদন রেখে গেছে, তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে চায়। বাহাদুর শাহের ইসলামী ফ্রন্টও আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনী ঐক্যে শামিল হতে চায়। প্রতিদিনই দুই একটা আবেদন কিংবা দেখা করে তাদের আগ্রহের কথা প্রকাশ করছেন।

তিনি বলেন, তবে আমরা এ বিষয়ে এখনও মুখ খুলছি না, সবার কথা শুনছি। আমাদের নেত্রী দেশে ফিরে এলে কার্যনির্বাহী মিটিংয়ে এবিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে কাকে আমরা জোটে নেব, কাকে নেব না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের ১৪ দলীয় জোট রয়েছে। আবার জাতীয় পার্টিও রয়েছে, জাতীয় পার্টি আগে আমাদের সঙ্গে মহাজোট করেছিল। সবাইকে নিয়ে একটা নির্বাচনী মহাজোট হতে পারে, তবে সেটা নির্ভর করছে বাস্তব পরিস্থিতি ও মেরুকরণের ওপর। আমরা জোটের পরিসর বাড়াবো কি বাড়াবো না, অথবা আমরা জোটবদ্ধ নির্বাচন করবো কিনা সেটা নিয়ে আরও কয়েকদিন পরে সিদ্ধান্ত নেবো।

বিকল্পধারা ও এলডিপি আপনাদের জোটে আসার সম্ভাবনা রয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, অলি আহমেদ সাহেবের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল, কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে নির্বাচন করতে চান, এমন কোনো অভিপ্রায় তিনি ব্যক্ত করেননি। বদরুদ্দোজা সাহেবের যুক্তফ্রন্ট, নিজেরাই বোধহয় জোট করার চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানি। ভালোইতো ১৪টা জোট হয়েছে, ২০-২৫টা হলে অসুবিধা কী? এটাতো গণতন্ত্র। শতফুল ফুটতে থাকুক।

তিনি বলেন, নির্বাচন আসছে, কাজেই রাজনীতিতে অ্যাল্যায়েন্সের কাফেলা এগিয়ে চলছে। ২০০টা রাজনৈতিক দল ১৪টা অ্যালায়েন্স এর মধ্যে হয়ে গেছে। এর মধ্যে জোট ভাঙছে, গড়ছে। এই দুটো বিষয় সমানে চলছে। শেষ পর্যন্ত মেরুকরণ কোথায় গিয়ে থামে, তার ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনের অ্যালায়েন্সের সমীকরণটা কীভাবে হবে।

নবগঠিত ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা রয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এটা ২০০১ কিংবা ২০১৪ সালও নয়। আগামী ১৫-২০ দিনে বিএনপি যদি মনে করে তারা ২০০১ সালের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করে। এটা সম্ভব নয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় আত্মবিশ্বাসের কারণ হলো বাংলাদেশের জনগণ এবার দলীয়ভাবে আমাদের সঙ্গে রয়েছে। দেশের জনগণ শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সৎ নেতৃত্বে আস্থাশীল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের জনগণ যেহেতু আমাদের সঙ্গে রয়েছে, তাই নেতায় নেতায় যে ঐক্য, এদের মধ্যে অধিকাংশই হলো জনবিচ্ছিন্ন। জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের ঐক্যে বাংলাদেশের জনগণের কিছু আসে-যায় না। এ নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা আমাদের নেই। কারণ আমরা জানি জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে, আগামী নির্বাচন নৌকায় ভোট দেবে, শেখ হাসিনাকে ভোট দেবে।

তিনি বলেন, শহীদ শেখ রাসেলের আজকে জন্মদিবস, মৃত্যুর বেদনা সেই জন্মদিবসকে ছাপিয়ে যায়। আমাদের শপথ হবে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে হত্যা, সন্ত্রাস ও খুনের রাজনীতিকে নির্মূল করা। হত্যা, সন্ত্রাস ও খুনের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন খসরু, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য আখতারুজ্জামান, এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।

/এসএম

ওবায়দুল কাদের
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close