বি চৌধুরীর বাসায় যাচ্ছেন ন্যাপ-এনডিপির নেতারা
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসায় যাচ্ছেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে আসা বাংলাদেশ ন্যাপ ও এনডিপির নেতারা।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটায় বৈঠকে বসবেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া।
সম্পর্কিত খবর
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল বিকল্পধারা যুগ্ম মহাসচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন। সেখানে বি চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাত হওয়ার কথা রয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলন করে জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)। দল দু’টির অভিযোগ- জোটের শরিক দলগুলোকে অন্ধকারে রেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছে বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি বলেন, ‘বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছিলাম। মতপার্থক্য ও মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও জোটের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সব সময় আন্তরিক ছিলাম। এমনকি ২০১৪ সালের নির্বাচনে নানা ধরনের লোভনীয় প্রস্তাব থাকার পরও জোট ত্যাগ করিনি। এই ত্যাগকে বিএনপি মূল্যায়ন করেনি।’
তবে এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হতে পারেননি দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক এম এন শাওন সাদেকী। সংবাদ সম্মেলনের কয়েক ঘণ্টা পরই ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি এবং মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়াকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন তিনি। একই সময় ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে নিজেকে দলের নতুন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করে ২০ দলীয় জোটেই থাকার সিদ্ধান্ত জানান তিনি।
এর আগে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে’ শীর্ষ নেতা হিসেবে বি চৌধুরীরও থাকার কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে’ যোগ দেয়নি বিকল্পধারা।
ড. কামাল হোসেনের বাসার গেট থেকে ফিরে আসার ঘটনায় বি চৌধুরীকে অপমানিত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করে বিকল্পধারা। এছাড়া এই জোটে পরোক্ষভাবে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর সম্পৃক্ততা আছে দাবি করে এই জোটে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
-একে