• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মুখে কুলপ শাজাহান খানের!

প্রকাশ:  ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবহন শ্রমিকদের ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের বিষয়ে মুখে কুলপ এঁটেছেন শ্রমিক নেতা ও নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। ধর্মঘট বা শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হচ্ছেন না।

দেশের পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর সম্মিলিত সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান। এই সংগঠনটির ডাকেই সারা দেশে রোববার ও সোমবার পরিবহন ধর্মঘট আহবান করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের শুরুর দিন সাধারণ মানুষের সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হয়। পরিবহন শ্রমিকদের এই ধর্মঘট সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না।

রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকরা তাকে ধর্মঘটের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

পরিবহন শ্রমিকরা যে আট দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন, সেই দাবি এখনই পূরণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ‘এই সরকারের হাতে যে সময় আছে, তাতে সড়ক পরিবহন আইনটি আর সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই। শ্রমিক নেতারা আইনটি ভালোভাবে না পড়েই আন্দোলনে নেমেছেন।’

এর আগে অবশ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আইনটি সংশোধন করা বা শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান। এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘এ মুহূর্তে শুধু বলতে চাই, ধর্মঘট প্রত্যাহার করুন, মানুষকে কষ্ট দিয়ে কোনো লাভ নেই।

সংসদে পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’-এর কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবিতে রোববার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। একই সঙ্গে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে লাগাতার ধর্মঘটেরও ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে গণপরিবহণের তীব্র সংকট। বাস স্ট্যান্ডগুলোতে হাজারো মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন গন্তব্যে যাওয়ার অপেক্ষায়। রাস্তায় বাস না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন অফিসগামী সাধারণ মানুষ।অনেকে গাড়ি না পেয়ে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যস্থলে রওনা হয়েছেন। অনেকে আবার সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুণে। শুধু তাই নয়, রিকশাচালকরাও দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছেন। রাজধানীর ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, সাতরাস্তা, মহাখালী, মিরপুর, গাবতলী, ধানমণ্ডি, উত্তরা, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া রাস্তায় কোনো গণপরিবহন নেই।

এনই

শাজাহান খান
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close