• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘দণ্ড বাতিল না হলে নির্বাচনে অযোগ্য খালেদা’

প্রকাশ:  ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ১১:৫১ | আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৩৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দণ্ড বাতিল না হলে আগামী নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম।

মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকালে এ মামলায় দুদকের রিভিউ গ্রহণ করে হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার সাজা আরও ৫ বছর বাড়ানোর পর তারা এ কথা বলেন।

সম্পর্কিত খবর

    রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী কোনো আসামি দুই বছর সাজা পেলেই তার কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকে না। সেই হিসেবে খালেদার সাজা বাতিল না হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

    অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, দুই রকম ব্যাখ্যা আছে— সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা অথবা সাজা বাতিল করা। এ ক্ষেত্রে আমার অভিমত হলো— কারও বিরুদ্ধে যদি সাজা হয়ে থাকে, তাহলে তার সাজা বাতিল করতে হবে। সাময়িক স্থগিত করে নির্বাচন করা যাবে না বলে আমি মনে করি।

    মাহবুকে আলম বলেন, আমরা রায়ের বিস্তারিত এখনও দেখেনি। তবে অনুমান করতে পারি, এই মামলার মুখ্য আসামি খালেদা জিয়া। অন্যান্য আসামি যেখানে ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, সেখানে মুখ্য আসামি পাঁচ বছর সাজা পেতে পারেন না।

    রায়ের পর দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে বলা হয়েছে, যদি কোনো মন্ত্রী পদ থাকা অবস্থায় দুই বছর পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্ত হন এবং পরবর্তী পাঁচ বছর না যায়, উনি আর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আজ খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন হাইকোর্ট। আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোনো প্রশ্নই আসে না।

    দুদকের আইনজীবী বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা বাড়নোর যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। তিনি এই মামলার মূল আসামি। বিচারিক আদালতে এই মামলায় তাকে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের আবেদন ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা। এ কারণে আমরা রিভিশন করেছিলাম। এই রায়ে আপাতত আমরা সন্তুষ্ট।

    খুরশিদ আলম বলেন, আজ খালেদা জিয়াসহ অন্য দুই আসামির আপিলের রায়ের জন্য দিন ঠিক করা ছিল। উচ্চ আদালত এই তিনটি আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের যে রুল ছিল সাজা বাড়ানোর জন্য, হাইকোর্ট সেটা মঞ্জুর করেছেন এবং খালেদা জিয়ার সাজা ৫ থেকে ১০ বছর বাড়িয়ে দিয়েছেন। তার মানে, এখন এই মামলার সব আসামির সাজা ১০ বছর হয়েছে।

    তিনি বলেন, আসামিপক্ষ হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে কি না, সেটা দেখা যাবে। রায়ের কপি পেতে সময় লাগবে। এখন সেই সময় আসেনি। দুইটি কোর্টের রায় এখানে বহাল হয়ে গেছে।

    জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। ওই রায়ের পর খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে খালেদার পক্ষে খালাস চেয়ে আপিল করা হয়।

    আজ খালেদা জিয়ার আপিল খারিজ করে দুদকের সাজা বৃদ্ধির আবেদন গ্রহণ করে এ রায় দেন বিচারক। এদিকে দুর্নীতির আরেক মামলায় (জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট) গতকালই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় দিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬ মামলার মধ্যে দ্বিতীয় মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে।

    /এসএম

    অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close