• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

শোলাকিয়ার ইমাম বললেন, শফীকে স্বাধীনতা পদক দিন

প্রকাশ:  ০৪ নভেম্বর ২০১৮, ১২:১২ | আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক

কওমি মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে স্বাধীনতা পদক দেওয়ার জন্য দাবি করেছেন শোলাকিয়ার ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।

রোববার (৪ নভেম্বর) কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাদিসকে (তাকমিল) সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সমান স্বীকৃতি দেয়ায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শুকরানা মাহফিলে’ তিনি এ দাবি করেন।

শোকরানা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল পৌনে ১১টায় তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই সমাবেশে হাজির হন। এ সময় সমাবেশের সভাপতি হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী হাত নেড়ে আগতদের শুভেচ্ছার জবাব দেন। পরে মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।

মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদের সবই দিয়েছেন, আপনার প্রতি আমাদের আরও একটু চাওয়া আছে। আমরা আপনার কাছে ইমামদের ৫ হাজার টাকা এবং মুয়াজ্জিনদের ৩ হাজার টাকা ভাতা দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, দেশের সব ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে ভাতা দিলে সরকারের ৫০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা খরচ হবে, যা খুবই কম। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আপনি মানবতা দেখিয়েছেন। আপনি বলেছেন ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়ানো সম্ভব হলে ৮ লাখ মানুষের খাওয়ার অভাব হবে না। আমরা চাই আমাদের অন্যান্য দাবির মতো আপনি ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা প্রদানের দাবিও মেনে নেবেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কোনো আলেমকে স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়নি৷ আমরা চাই আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শাহ আহম্মদ শফীকে আপনি স্বাধীনতা পদক প্রদান করবেন।

২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল গণভবনে আল্লামা শফীর নেতৃত্বে শীর্ষ আলেমদের উপস্থিতিতে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাদিসকে ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি বিষয়ের মাস্টার্সের সমমান দেয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। গত ১৯ সেপ্টেম্বর এ-সংক্রান্ত বিলটি সংসদে পাস হয়। এর মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার লাখ লাখ শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়।

কওমি আলেমরা মনে করেন, কওমি সনদের স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুগ্রহ। তিনি একক চেষ্টায় দেশের পিছিয়ে পড়া বড় একটি জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। এ জন্য কওমি মাদ্রাসাসংশ্লিষ্টরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। আর এর প্রতিদান হিসেবেই তাকে সংবর্ধিত করতে চান আলেমরা। তবে প্রধানমন্ত্রী সংবর্ধনা নিতে বিব্রত বোধ করায় তার পরামর্শে আলেমরা এর নাম দিয়েছেন ‘শুকরানা মাহফিল’।

/অ-ভি

কওমি মাদরাসা,বোর্ড,শোলাকিয়া,ইমাম,মাওলানা,ফরিদ উদ্দিন মাসউদ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close