তরিকুলের দাফন সম্পন্ন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। যশোর ঈদগাহ মাঠে মরহুমের তৃতীয় ও শেষ জানাযা শেষে বিকেল ৫টায় ‘কারবালা’ কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

এসময় জানাযা ও দাফনে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার লাখো মানুষ।

এর আগে, সোমবার বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা থেকে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে যশোরের নিজ বাড়িতে আনা হয়।

এসময় সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষারত বিএনপির নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তার লাশ গ্রহণ করেন। মরদেহ পৌঁছানোর পর প্রিয় নেতাকে দেখতে আসা কর্মী ও স্বজনদের কান্নায় সেখানকার পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।

পরে তার লাশ শহরের লালদিঘী পাড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেয়া হয়। এখানে তাকে দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্যে রাখা হলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের আবতারণা ঘটে।

তরিকুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা জানান, তৃতীয় জানাযা শেষে শহরের কারবালা কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে তাকে দাফন করা হবে। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবন ও নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে তার দু’দফা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু জানান, বৃহত্তর খুলনা বিভাগে বিএনপির অভিভাবক ছিলেন তরিকুল ইসলাম। তার মুত্যুতে জেলা বিএনপি তিন দিনের শোক পালন করছে। সোমবার সবাই কালো ব্যাচ ধারণ করেছে। আগামী দু’দিন দোয়া মাহফিল ছাড়াও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।

রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (৫ নভেম্বর) বিকেলে মারা যান বর্ষীয়ান এই নেতা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

যশোর সদর থেকে চারবার সংসদ সদস্য হওয়া এই নেতা যশোর পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যানও ছিলেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি বিএনপির সর্বোচ্চ ফোরামে আসার আগে একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও ভাইস-চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

/আইসা