আশুলিয়ায় ডাকাতের গুলিতে গৃহকর্তা নিহত
চলন্ত বাসে নারীকে হত্যা করে ফেলে দেয়ার ঘটনার একদিন পার না হতেই এবার আশুলিয়ায় ডাকাতের গুলিতে আবুল সরকার নামে বাড়ির গৃহকর্তা নিহত হয়েছে। আহত হয় মকরুল হোসেন নামে আরও এক ভাই। এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা স্বর্ণালংকারসহ ওই ব্যবসায়ীর লাইসেন্সকৃত একটি বন্দুকও লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সম্পর্কিত খবর
রোববার (১১ নভেম্বর) ভোর রাতে আশুলিয়ার দূর্গাপুর এলাকার সরকার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল সরকার দূর্গাপুরের হালিম সরকারের ছেলে। হামলার শিকার মকবুল হোসনে জানান, গ্রিল কেটে কয়েকজন ডাকাত ঘরের ভিতরে ঢুকে। বাবাকে জিম্মি করে ফেলে। পরে বড় ভাই আবুল সরকারকে হামলা চালায়। এর আগে মোবাইল ফোনে প্রতিবেশী সবাইকে জানায়। এসময় ডাকাতরা সবাই বের হয়ে যায়। ইতিমধ্যে সবাই আসতে শুরু করে। আমরা সবাই বের হয়ে দেখি, দুই ডাকাত বাউন্ডারির পাশে অবস্থান করছে। এসময় বড় ভাই তাদের ধরতে গেলে একজন তাকে গুলি করে ও কুপিয়ে জখম করে।
নিহতের চাচাতো ভাই আমজাদ হোসেন বলেন, ভোর রাতের দিকে ১০-১২ জনের ডাকাত দল একতলা বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। পরে মোবাইল ফোনে আশেপাশের লোকজনকে জানায় ও মসজিদে মাইকিং করা হয়। সবাই ছুটে আসতে থাকে। এসময় বাড়ির গৃহকর্তা আবুল সরকার দুই ডাকাতকে ধরতে যায়। এ অবস্থায় ডাকাতরা আবুল সরকারের পেটে গুলি করে ও মাথায় কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্বর্ণালংকারসহ আবুল সরকারের বাবার লাইন্সেসকৃত বন্দুকটি লুট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মনিরুল হক ডাবলু, ঘটনার পর আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিবারের দাবি ডাকাতরা গুলি করে আবুল সরকারকে হত্যা করেছে। তবে পরিবারের দাবির পাশাপাশি জমি সংক্রান্ত বিরোধ বা পূর্ব শত্রুতার কোন ঘটনা আছে কিনা, সবগুলো বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে।
/পি.এস