• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

‘রোমান্টিক’ উদযাপনের রহস্য জানালেন মুশফিক

প্রকাশ:  ১২ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:৪৯ | আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:০৬
স্পোর্টস প্রতিবেদক

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করার পর মুশফিকুর রহিম প্রথমে একহাতে ব্যাট ঘোরালেন। এরপর তা ছুঁড়ে ফেলে দুই হাতে হৃদয়ের প্রতিকৃতি এঁকে চুমু খেলেন, ছুড়ে দিলেন আকাশ পানে। এমন অঙ্গভঙ্গি দেখে সবারই মনে একটি প্রশ্ন জেগেছে- কি ছিলো এই অঙ্গভঙ্গিতে? কি বোঝাতে চেয়েছেন দুইবার দ্বিশতকধারী এই ব্যাটসম্যান। কী ছিলো এমন উদযাপনের রহস্য?

সোমবার (১২ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুশফিক হেসে জানালেন, অবশ্যই ডাবল সেঞ্চুরি আমার স্ত্রীকে উৎসর্গ করতে চাই। কারণ এটা অনেক স্পেশাল ছিলো।

এর আগে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিন শেষে ১১১ রানে অপরাজিত থাকা মুশিকে গেল রাতে ডাবল সেঞ্চুরি পেতে সাহস যুগিয়েছেন মন্ডি। অভয় দিয়েছেন, দিয়েছেন আত্মবিশ্বাসের জ্বালানিও। ফলশ্রুতিতে টেস্ট ক্যারিয়ারের অদ্বিতীয় মাইলফলকটি ছোঁয়ার কাজ তার জন্য সহজ হয়ে গেছে। আর সেই কারণেই অনন্য এই অর্জনটি স্ত্রীকে উৎসর্গ করলেন।

‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল' বলেন, মিরপুরে আমার এটাই আমার প্রথম সেঞ্চুরি। সেই ২০১০ সালে আমি বাংলাদেশে প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলাম। সব মিলিয়ে আমি মনে করি অনেক বড় একটা মাইলফলক ছিলো। আমি চেষ্টা করব যেন এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারি।

তিনি বলেন, আজকের ডাবল সেঞ্চুরির জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিলো যদি করতে পারি আমার সহধর্মিণীকে উৎসর্গ করব। কারণ ওর অবদানটা অনেক বড় ফ্যাক্ট। আপনারা হয়তো জানেন, আমি অনেক সময় মন খারাপ করে থাকি, এইটা করে থাকি, ওইটা করে থাকি। কিন্তু বিয়ের পরে এই জিনিসটায় অনেক বড় একটা সাহায্য হয়েছে। আর বাচ্চা হওয়ার পরে তো এটা অসাধারণ। আপনি যদি খেয়াল করে দেখেন আমার মোবাইল ওয়ালপেপারেও ওর ছবি। মানে একটু হাসি দেখলেই আমার মন ভালো হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ইতিহাসের প্রথম উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করার অনন্য ইতিহাস রচনা করেছেন মুশফিকুর রহিম। আর এই ইতিহাস গড়ার পথে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন কুমার সাঙ্গাকারা, মহেন্দ্র সিং ধোনি, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারদের মতো কিংবদন্তিদের। বাংলাদেশেরও একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে দুটি টেস্ট দ্বিশতকের দেখা পেলেন তিনি।

/সাগর

মুশফিকুর রহিম
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close