নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: তিন মামলার মূল আসামি আব্বাস দম্পতি, গ্রেফতার ৬৫
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সাথে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও পুলিশের গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা তিন মামলার মূল আসামি করা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসকে।
বুধবার (১৪ নভেম্বর) রাতে দায়ের করা মামলাগুলোতে বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিদের ‘অজ্ঞাত’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পল্টন থানায় মামলাগুলো দায়ের করেছে পুলিশ। মামলা নম্বর মামলা নম্বর- ২১, ২২ ও ২৩। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ৬৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট, হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশের ওপর হামলার, সরকারি কাজে বাধা প্রদান, সড়কে যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতা ও সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
পল্টন থানার এক ডিউটি অফিসার (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) গণমাধ্যমকে বলেন, মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসসহ দলটির অন্যান্য শীর্ষ নেতাকে আসামি করা হয়েছে।
এসব মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুসহ এ পর্যন্ত ৬৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুর ১টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল কার্যালয়ের সামনে আসে। এ সময় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আরও কয়েকটি মিছিল দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হয়। তখন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ফুটপাতের দিকে অবস্থান নেওয়ার জন্য রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন এবং তাদের ফুটপাতের দিকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। তখন উপস্থিত নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং রাবার বুলেট ছোঁড়ে। তখন বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
ওইদিন সন্ধ্যায় পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়া যুবককে ধরিয়ে দিতে আহ্বান জানিয়ে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) ফেসবুক পেজে অগ্নিসংযোগকারী ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে তার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চায় পুলিশের এই বিশেষ ইউনিট।
আগুন দেওয়া সেই যুবককে এরই মধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
/এসএম