• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

সামনে দৃষ্টি মাহমুদউল্লাহর

প্রকাশ:  ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ১৭:১৭ | আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ১৭:২৫
সম্রাট কবীর

পঞ্চম ও শেষ দিনে ৪৪৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে জিম্বাবুয়ে।কিন্তু মিরপুরের টেস্টের শেষ দিন স্বাগতিকদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি সফরকারী জিম্বাবুয়ে। বরাবরের মতো এদিনও টাইগারদের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয় জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানরা। তাইজুলের পর এই দিন টাইগার অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ ৫ উইকেট তুলে নেন।অনেক দিন রান খড়ায় থাকা মাহমুদউল্লাহ নিজেও রানের দেখা পান।

দীর্ঘ আট বছর পর মিরপুরে তার ব্যাট হাসে। সেই সাথে তুলে নেন টেস্ট সেঞ্চুরি।মূলত দলের সবার পারফর্মে এই জয় এসেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। মুশফিক, মুমিনুল, মিরাজ, ইমরুল,লিটনদের সাথে নিজেও রানে ফিরতে পেরে অনেক খুশি টাইগার দলপতি। সেই সাথে বোলারদের ভালো বল করার কারণে সিলেট টেস্ট হারার পর মিরপুরের টেস্টে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। যার ফলে সফরকারীদের কোনো পাত্তা না দিয়ে বিশাল ব্যাবধানে জয় তুলে নেয় রিয়াদবাহিনী।

সম্পর্কিত খবর

    ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রাপ্তি, নিজের ব্যাটিং, ডিক্ল্যারেশন সবকিছু নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে রিয়াদ জানান,

    এই জয়ে প্রাপ্তি কতটুকু? সবাই চাচ্ছিলো জিম্বাবুয়ের সাথে বাংলাদেশ জিতুক। আমার মনে হয় জিম্বাবুয়েকেও ক্রেডিট দিতে হবে, ওরা ভাল ক্রিকেট খেলেছে। ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই ওরা ভালো করেছে। প্রথম টেস্টে কিছু ল্যাক অব ডিসিপ্লিন ছিল, যা টেস্ট ক্রিকেটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।ওই জিনিসটা আমরা করতে পারিনি, যা এই টেস্টে করতে পেরেছি। প্রথম টেস্ট শেষে একটা কথা বলেছিলাম, আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে সবাই বেশ ডিটারমাইন্ড ছিলাম, প্রথম টেস্ট হারের পর আমরা খুব হার্ট হয়েছিলাম, আমরা চেয়েছিলাম তার বহিঃপ্রকাশ মাঠে দেখাতে। আমার মনে হয় আমরা কিছুটা হলেও তা করতে পেরেছি।

    ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ ও রিলিফ? হ্যাঁ কিছুটা রিলিফ বলতে পারেন। কারণ আমার শেষ পাঁচ টেস্টে কোন ভাল পারফর্মেন্স ছিল না, কোন ফিফটি ছিল না। আমি এই ফরম্যাটের ক্রিকেটে স্ট্রাগল করছিলাম। আমি চাচ্ছিলাম আমার জায়গাটা মূল্যায়ন করতে, কারণ অধিনায়ক হিসেবে সবসময় সামনে থেকে পারফর্ম করতে হয়। ওই দায়বদ্ধতা আমার মধ্যে ছিল। আলহামদুলিল্লাহ যে, আমি দলের জন্য কিছুটা হলেও কন্ট্রিবিউট করতে পেরেছি। তবে আমার এখনও উন্নতির অনেক জায়গা আছে। আমি চাই এই ফরম্যাটে আরও ধারাবাহিক হতে।

    সিরিজ ড্র'য়ে আনন্দ বেশি নাকি স্বস্তি এ নিয়ে রিয়াদ বলেন,যদি আপনি ম্যাচ জয় করেন তাহলে অবশ্যই আপনার আনন্দ লাগা উচিত। ম্যাচ জিতলে সেইটুকু অধিকার থাকে আনন্দ প্রকাশ করার জন্য। আমরা যখন খারাপ খেলি, ড্রেসিং রুমে মনটা আমাদেরই বেশি খারাপ হয়। আমাদের চোখের পানিটা কেউ দেখে না। আমরা এটা কাউকে বলিও না। এখানে কমপেয়ারিজমের কোন ইস্যু নেই, স্বস্তিও না, আনন্দও না।

    এর আগে রিয়াদে্র বলা এভাবে টেস্ট খেলার মানে হয় না সেই কথা বলতেই তিনি বলেন, হ্যাঁ যদি আমরা প্রথম টেস্টের মত খেলি, তাহলে অবশ্যই মানে হয় না। আবার যদি আপনি এই টেস্টের কথা চিন্তা করেন, যদি আমরা এমন মানসিকতা দেখাতে পারি এবং কাজে কর্মে সেটা দেখাতে পারি, তাহলে অবশ্যই মানে হয়।

    ডিক্ল্যারেশন নিয়ে জনান, আমার মনে হয় পুরো পাঁচ দিনই উইকেট খুবই ভাল ছিল। আজকের দিনটাও যদি খেয়াল করেন, ইনিশিয়ালি ৩০ মিনিটের মতন কিছুটা এদিক সেদিক টার্ন হয়েছে, এরপর মিরাজ এসে দুটি উইকেট নিয়েছে। আমরা ওই মোমেমটামের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। একটু রাফ ছিল, আমরা উইকেট থেকে যতটা স্পিন, বাউন্স পাওয়ার আশা করছিলাম সেটা পাই নি। উইকেট অনেক ভাল ছিল।

    খালেদ তাঁর প্রথম ম্যাচের তুলনায় অনেক ভাল পারফর্ম করেছে। হি অয়াজ অ্যা বিট আনলাকি, তাঁর বোলিংয়ে কিছু সহজ ক্যাচ মিস করেছি, নয়তো তাঁর বোলিং ফিগারটা আরও সুন্দর দেখাতো। মাঝে মাঝে ভাগ্যও পাশে থাকা লাগে, আমার মনে হয় মুস্তাফিজ ভাল বোলিং করেছে। ভাল জায়গায় বোলিং করেছে। আর স্পিনাররা, মিরাজ ও তাইজুল স্ট্যান্ড আউট পারফর্মার।

    উইন্ডীজ সিরিজের আগে ঢাকার উইকেট নিয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের জানান, হ্যাঁ অবশ্যই, এই উইকেটটা একটু গ্রিনিশ ছিল, আর্লি অন। আমরা যখন ব্যাট করছিলাম, তখন ১-২ ঘণ্টা ভাল হেল্প ছিল পেসারের জন্য। ওরা খুব ভাল জায়গায় বল করেছে। আমার মনে হয় ওই সময়টায় মুশফিক মমিনুল খুবই ভাল ব্যাট করেছে। দ্যা অ্যামাউন্ট অব গুড দে হ্যাভ লেফট, ঈট ওয়াজ আনবিলিভেবল। তারপর মিরাজ খুব ভাল ব্যাট করেছে। সব মিলিয়ে এই টেস্টের পারফর্মেন্স খুবই ভাল, তবে ক্রিকেটে সবসময় উন্নতির জায়গা থাকে। আর ওয়েস্ট ইন্ডীজের সাথে টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে বসে চিন্তা করব কেমন উইকেট চাচ্ছি। ওদের দলও আমাদের দেখতে হবে, প্লাস হচ্ছে আমরা সবসময় যেই স্পিন ফ্রেন্ডি উইকেট করি, সেই দিকেই হয়তো আমরা যাব।

    প্রসঙ্গত, মেহেদি হাসান মিরাজের করা দুর্দান্ত বোলিংয়ে ঢাকা টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ২১৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছে বাংলাদেশ। অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরি করার সুবাদে ম্যাচসেরা হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। সিরিজ সেরার পুরষ্কার গেছে তাইজুল ইসলামের ঝুলিতে। দুই ম্যাচে মোট ১৮ উইকেট নিয়েছেন এই টাইগার বাঁহাতি লেগ স্পিনার।

    /এস কে

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close