ভোটে আইনশৃঙ্খলা খাতে বরাদ্দ ৪৩০ কোটি টাকা, গতবারের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি
সম্পর্কিত খবর
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরাদ্দ রয়েছে ৭৩২ কোটি টাকা। এই বরাদ্দের প্রায় ৬৫ শতাংশ ব্যায় হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়। এই খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩০ কোটি টাকা। এতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের খরচও অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়েছে। এর আগের বার দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিল ২০০ কোটি টাকার কম। এবারের নির্বাচনে এই বরাদ্দ দ্বিগুণের চেয়েও বেশি।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা খাতে বরাদ্দের ৪৩০ কোটির টাকার মধ্যে সেনাবাহিনীর জন্য ৪৫ কোটি, আনসার সদস্যদের জন্য ১৯০ কোটি, পুলিশের জন্য ১৬৫ কোটি এবং র্যাব ও বিজিবির জন্য ৩০ কোটি টাকা রয়েছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনে ব্যয় হয় মূলত দু’টি খাতে। একটি হচ্ছে—নির্বাচন পরিচালনা ও অন্যটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা খাত। বরাবরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাখাতে ব্যয় বেশি হয়। এবারের নির্বাচনেও তাই হচ্ছে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছয় লাখের বেশি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন বলেও তারা জানান।
ইসি কর্মকর্তানা জানান, নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে মোতায়েন করা হবে, সে বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়নি। প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পরপরই কমিশন সব বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক করবে। ওই বৈঠকের পর মূলত নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
ইসির আরেক কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে। তবে প্রকৃত কত টাকা ব্যয় হবে, তা নির্ধারিত হবে নির্বাচনের পর। ওই কর্মকর্তা জানান, সাধারণত ভোটের পর বিভিন্ন বাহিনী তাদের মোতায়েন করা সদস্য সংখ্যা ও ব্যয়িত খরচ দিয়ে থাকেন, যা ইসিকে পরিশোধ করতে হয়।
সরকারের সূত্রে জানা গেছে, ইসির বরাদ্দ ছাড়াও নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর জন্য নিজ নিজ মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।