‘অপহৃত’ পিএইচডি গবেষক এনামুল র্যাব হেফাজতে
কোরিয়া যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হওয়া পিএইচডি গবেষক এনামুল হক মিলন র্যাব হেফাজতে রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সম্পর্কিত খবর
তিনি বলেন, আমরা জানতে পেয়েছি, র্যাবের একটি দল বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকা থেকে এনামুলকে উদ্ধার করেছে। আমরা তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানিয়েছি।
তবে এ বিষয়ে র্যাবের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এনামুলের বড় ভাই কামরুজ্জামান মাসুদ জানান, দুপুরের দিকে দক্ষিণখান থানা থেকে জানানো হয় এনামুলকে র্যাব উদ্ধার করেছে।
এর আগে, গত বুধবার (২১ নভেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য আশকোনার বন্ধুর বাসা থেকে রাত ১০টার দিকে বের হয়েছিলেন পিএইচডি গবেষক এনামুল হক মিলন। রাত ১টায় তাঁর বিমানে ওঠার কথা ছিল। বন্ধুর ছোট ভাই তাঁকে রিকশায় উঠিয়ে বিদায় দেন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিলো।
এনামুলের গ্রামের বাড়ি পাবনায়। তার বাবার নাম ফজলুল হক। এক পুত্র সন্তানের বাবা এনামুল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে বৃত্তি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার কিওংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (কেএনইউ) পিএইচডি করছেন।
পরিবার ও স্বজনরা জানান, গত ২২ অক্টোবর এক মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন এনামুল। গত বুধবার রাত ১টার দিকে তার কোরিয়া যাওয়ার কথা ছিলো। বুধবার সকালে শ্বশুরবাড়ি টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় এসে আশকোনায় এক বন্ধুর বাসায় ওঠেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বন্ধুর বাসা থেকে বেড়িয়ে রিকশায় করে বিমানবন্দরের দিকে রওয়ানা হন। রাত ১১টা পর্যন্ত মোবাইলে বন্ধুদের সঙ্গে তার কথা হয়। কিন্তু ১১টার পরে মোবাইল ফোন বন্ধ পেলে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পরদিন বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ‘অপহরণকারী’ পরিচয়ে ফোন আসে স্বজনদের কাছে। শুক্রবার ভোর ৬টার মধ্যে দেড় লাখ টাকা দাবি করা হয়। তার পরিবার কথিত অপহরণকারীদের দেয়া নম্বরে এক লাখ টাকা পাঠিয়েও তাকে ফেরত পায়নি। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে দক্ষিণখান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
/সাগর