• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

এরদোগানকে সাক্ষাতের অনুরোধ সৌদি যুবরাজের

প্রকাশ:  ২৮ নভেম্বর ২০১৮, ১১:০১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফাইল ছবি

সমালোচিত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান চলতি সপ্তাহে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে শুরু হতে যাওয়া জি-২০ সম্মেলনে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রজব তৈয়ব এরদোগানের সাক্ষাৎ কামনা করে তাঁকে ফোনে অনুরোধ করেছেন।

একটি জার্মান দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘হ্যা, তিনি (বিন সালমান) বুয়েন্স আয়ার্সে বৈঠকে বসার জন্য টেলিফোনে এরদোগানকে অনুরোধ করেছেন। এরদোগান এর জবাবে বলেছেন, দেখা যাক কি হয়।’ চাভুসওগ্লু বলেন, এই মূহুর্তে যুবরাজের সঙ্গে বৈঠকে না বসার কোন কারণ নেই। খবর পার্সটুডের।

সম্পর্কিত খবর

    আগামী শুক্র ও শনিবার আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে জি টোয়েন্টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান, সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানসহ উন্নত বিশ্বের নেতারা যোগ দেবেন।

    সেখানে সৌদির প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে বিন সালমানের অংশগ্রহনের নিন্দা জানিয়েছেন নিহত জামাল খাসোগির সাংবাদিক বন্ধুরা। সৌদির হয়ে বিন সালমানের প্রতিনিধিত্ব জি টোয়েন্টি সম্মেলনকে মূল্যহীন করে তুলবে বলে মন্তব্য করেছেন তারা।

    এছাড়া সৌদি ক্রাউন প্রিন্সকে গ্রেপ্তার করতে আর্জেন্টিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইট ওয়াচ। তারা বলছে, আর্জেন্টিনার সংবিধান অনুযায়ী দেশটির সরকার এ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। যুবরাজ বিন সালমান ইয়েমেনে যুদ্ধাপরাধ করেছে এবং তিনি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার সঙ্গে জড়িত।

    এইচআরডাব্লিউ এ সংক্রান্ত একটি আবেদন আর্জেন্টিনার ফেডারেল প্রসিকিউটরের কাছে জমা দিয়েছে। ওই আবেদনের সঙ্গে তারা ইয়েমেনে সৌদি যুদ্ধাপরাধ ও খাসোগি হত্যাকাণ্ডে যুবরাজের জড়িত থাকা সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিয়েছে।

    আর্জেন্টিনার সংবিধানে আন্তর্জাতিকভাবে যুদ্ধাপরাধ ও নির্যাতনের বিচারের ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এ কারণে বিশ্বের যেখানেই এ সংক্রান্ত অপরাধ ঘটুক না কেন এবং যে ব্যক্তিই তা ঘটিয়ে থাকুক না কেন সেই অপরাধের তদন্ত ও বিচারের এখতিয়ার দেশটির বিচার বিভাগের রয়েছে। আর্জেন্টিনার বিচার বিভাগ এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে দেশটির গণমাধ্যম বলছে, মানবাধিকার সংস্থার এ আবেদন বাস্তবায়নের সম্ভাবনা খুব কম।

    গত দুই অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদির দূতাবাসে প্রয়োজনীয় কাগজ আনতে গেলে নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা হয়। শুরুতে হত্যার কথা অস্বীকার করলেও আন্তর্জাতিক চাপ ও একাধিক তথ্যপ্রমাণ প্রকাশ্যে এলে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি আরব। তাকে কিছু উচ্ছৃঙ্খল নিরাপত্তা কর্মকর্তা হত্যা করেছে বললেও তার মৃতদেহের কোনো সন্ধান দেয়নি তারা। বিশ্ব গণমাধ্যম বিভিন্ন প্রমাণের ভিত্তিতে জানিয়েছে, খাসোগিকে টুকরো টুকরো করে হত্যার পর এসিড দিয়ে তার মৃতদেহ নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে।

    শুরু থেকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ ঘটনায় সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের হাত রয়েছে। তবে বিন সালমান এবং সৌদি রাজপরিবারের কেউই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সৌদি আরব। তবে এতে বিতর্ক এখনো শেষ হয়নি।

    /এসএইচ

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close