অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থায় মন্ত্রণালয়ের তিন চিঠি
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর (১৫) আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে র্যাব-পুলিশ, ঢাকা শিক্ষাবোর্ড ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে পৃথক চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখা প্রধান জিনাত আখতার এবং অরিত্রীর শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে র্যাব ও পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। বুধবার বিকেলে র্যাবের মহাপরিচালক ও ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনারকে চিঠি দিয়ে এই অনুরোধ জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সম্পর্কিত খবর
এ ছাড়া, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ওই তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তৃতীয় চিঠিতে ওই তিনজনের বেতন-ভাতা বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে, বুধবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, অশোভন আচরণ, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে অধ্যক্ষ ও শাখা প্রধানের নির্মম, নির্দয় আচরণ অরিত্রিকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে এবং তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে। এ জন্য কমিটি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
উল্লেখ্য, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নকলের অভিযোগ তুলে বাবা-মাকে ডেকে অপমান ও টিসি দেয়ার কথা বলায় রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শান্তিনগর শাখার নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি (১৫) গত ৩ ডিসেম্বর দুপুরে আত্মহত্যা করে।
আত্মহত্যার কিছুক্ষণ আগে সে তার মাকে জানিয়েছিল, ‘মা এ লজ্জা নিয়ে বাঁচতে চাই না।’
অরিত্রির আত্মহত্যার ঘটনায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীরা মঙ্গলবার দিনভর আন্দোলন করে এবং এর সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত সব পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করে।
পরে, মঙ্গলবার রাতে অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা (নং-১০) দায়ের করেন।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হক জানান, মামলায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিন্নাত আরা ও শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে আসামি করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ৩০৫ ধারায় মামলাটি দায়ের হয়েছে।
/আরাফাত