‘খালেদার নির্বাচন নিয়ে বিএনপি উচ্চ আদালতকে বিভ্রান্ত করছে’

বিএনপি নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে কলুষিত করে সাজাপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ খালেদা জিয়ার পক্ষে জনগণের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান।

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) দেশের উচ্চ আদালতকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে, দুর্নীতিবাজ খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির পাঁয়তারা করতে একের পর এক রিট পিটিশন দায়ের করেছে । হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতিরা সংবিধানকে অনুসরণ করে এসব রিট নাকচ করে দিচ্ছেন। জাতির দুর্ভাগ্য এই যে,হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ নিয়ে বিএনপি তার চিরাচরিত মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের আশ্রয় নিয়েছে।

দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়া নির্বাচন ও রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন না উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন দলের এই যুগ্ম সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অশ্রুসজল নয়নে জাতির সামনে বলেছিলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছাড়াই তারা এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। কারণ, তারা জানতেন বিএনপি যতই রাজনৈতিকভাবে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করুক না কেন, আইনের চোখে তিনি (খালেদা জিয়া) একজন এতিমের টাকা আত্মসাতকারী ও সাজাপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ।

ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে আব্দুর রহমান বলেন, ড. কামাল হোসেন সংবিধান প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানের জন্মলগ্ন থেকেই সংবিধানে ‘অনুচ্ছেদ ৬৬’ বিদ্যামান রয়েছে। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ীই খালেদা জিয়া নির্বাচনের অযোগ্য। অথচ আজকে ক্ষমতার মোহে ড. কামাল হোসেনসংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের বিরোধিতা করছেন।লাদেশের সংবিধানের এই অনুচ্ছেদের বিরোধিতা করছেন। কী বিচিত্র এ দেশ।’

তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ অন্যান্য দেশে ও দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি বাতিল করা হয়েছে। ড. কামাল হোসেনের মতো বিএনপি নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে সম্যক ধারণা থাকার পরও, খালেদা জিয়ার মতো এতিমের টাকা আত্মসাতকারী দুর্নীতিবাজের পক্ষাবলম্বন করে, নির্বাচনে সুযোগ প্রদানের বিভিন্ন অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

আবদুর রহমান আরও বলেন, বিএনপিকে অপরাজনীতি পরিহার করে, দেশের আইন সংবিধান, আদালত ও বিচার প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন কমিশনের আস্থাভাজন ও শ্রদ্ধাশীল হয়ে নির্বাচনি প্রচার কাজে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসূচি প্রসঙ্গে আব্দুর রহমান বলেন, আগামী বুধবার (১২ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মাজার জিয়ারত করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি সড়কপথে মঙ্গলবার সকালে টুঙ্গিপাড়ায় উপস্থিত হবেন এবং গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি ১৩ ডিসেম্বর সড়কপথে ঢাকা ফেরার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড়, ফরিদপুর মোড়, রাজবাড়ী রাস্তার মোড়, পাটুরিয়া ঘাট, মানিকগঞ্জ বাস ট্যান্ড, ধামরাই রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ও সাভার বাসস্ট্যান্ডে নির্বাচনি প্রচার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন, দলের আরেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম,বিএম মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দফত সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া,কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।