• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

কাদের সিদ্দিকীকে গালি দিন, কারণ...

প্রকাশ:  ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:৪২ | আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:৪৬
মেহেদী সম্রাট
ফাইল ছবি

কাদের সিদ্দিকীকে যত পারেন গালি দিন। যত পারেন অপমানজনক কথা বলতে থাকেন। আপনাদের এই কথা বলার অধিকার আদায়ের জন্যই তিনি আজন্ম সংগ্রাম করেছেন। তিনি তো আজ গালিই প্রাপ্য!

কাদের সিদ্দিকীকে গালি দিন। কারণ তিনি-

*নিজের জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ে দেশকে শত্রুমুক্ত করেছেন।

*দেশের অভ্যন্তরে থেকে ১৭ হাজার সশস্ত্র গেরিলার বিশাল বাহিনী তৈরি করে পাকিস্তানিদের অস্ত্র কেড়ে নিয়েই পাকিস্তানিদের মেরেছেন।

*বাংলাদেশের ৫/১ অংশে শত্রুবাহিনী ঢুকতে না দিয়ে 'মুক্তাঞ্চল' প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

*যুদ্ধকালীন ভারতীয় মিত্র বাহিনী এই কাদের সিদ্দিকী'র মুক্তাঞ্চল দিয়েই কাদের সিদ্দিকীর সহায়তায় এই ভুখন্ডে ঢুকে মুক্তি বাহিনীকে সহায়তা করার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করেছিলেন।

*তিনি প্রথম চারদিক থেকে ঘেরাও করে ঢাকা আক্রমণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলেন।

*জেনারেল নিয়াজীকে আত্মসমর্পনের জন্য হুংকার দিয়ে তিনিই প্রথম বলেছিলেন, 'তুমি আত্মসমর্পণ করো না হয় মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও'।

*নিয়াজীর ডেরায় দাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করার জন্য বাড়িয়ে দেওয়া নিয়াজীর হাতকে তিনি প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, 'যে হাত দিয়ে আমার বাংলাকে পুড়ে শ্মশান বানিয়েছো, আমার মা-বোনেদের সম্ভ্রমহানি করেছো সে হাতে আমি কাদের সিদ্দিকী হ্যান্ডশেক করবো না'।

*১৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ এ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জনসভা করে তিনি বলেছিলেন, 'শেখ মুজিবকে মুক্তি দাও, না হলে আমি কাদের সিদ্দিকী পাকিস্তান আক্রমণ করকে বাধ্য হবো'।

*বঙ্গবন্ধুর এক কথায় তিনি পাকিস্তানিদের থেকে ছিনিয়ে নেয়া ৩১৫ ট্রাক অস্ত্র বঙ্গবন্ধুর পায়ের কাছে বিছিয়ে দিয়েছিলেন।

*যুদ্ধে অসীম সাহসিকতাপূর্ণ ভূমিকার জন্য একমাত্র বেসামরিক ব্যাক্তি হিসেবে তিনি বীরউত্তম খেতাব অর্জন করেছেন।

*১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামীলীগের নেতারা যখন মোসতাকের মন্ত্রীসভায় শপথ পাঠে ব্যস্ত ছিলেন কিংবা ইঁদুরে গর্তে লুকিয়েছিলেন, তখন এই কাদের সিদ্দিকী 'জাতীয় মুক্তিবাহিনী' গড়ে তুলে শেখ মুজিব হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তুলে দেশকে এবং আওয়ামীলীগকে কলঙ্কের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন।

*বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১৬ বছর নির্বাসনে থেকেছিলেন এই কাদের সিদ্দিকী।

*১৯৯০ সালে দেশে ফিরে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবরস্থান কে জঙ্গলমুক্ত করেছিলেন এবং সেসময় থেকে প্রতিবছর ১৫ আগস্ট টুঙ্গিপাড়ায় কর্মসূচী (মিলাদ, দোয়া, সমাবেশ) চালু করেছিলেন।

*১৯৯৬ সালের সংসদে এই কাদের সিদ্দিকীই প্রথম মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১০,০০০ টাকা করা দাবী তুলেছিলেন।

*২০০০ সালে দল গঠনের পর থেকে এখন পর্যন্ত গণ মানুষের অধিকার আদায়ে অবিরত সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন।

*২০১৫ সালে ৩০৮ দিন ঘরের বাইরে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে দুই নেত্রীকে আলোচনায় বসে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবীতে রাজপথে দিনরাত পার করেছেন।

*মানুষের ভোটের অধিকার এবং দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় তিনি ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছেন।

*ক্ষমতার লোভনীয় হাতছানিকে উপেক্ষা করে তিনি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজপথের সংগ্রামকে বেছে নিয়েছেন।

সুতরাং আজন্ম সংগ্রামী এই মানুষটির তো গালিই প্রাপ্য!

(লেখকের ফেসবুক স্ট্যাটাস)

/পিবিডি/একে

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close