হামলায় আসলামের ‘গুন্ডা বাহিনীকে’ দায়ী করলেন ড. কামাল
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফেরার পথে অাসলামুল হক অাসলামের ‘গুন্ডা বাহিনী’ ছাত্রলীগের ইব্রাহীম, জাকির ও কাউন্সিলর টিপুর নেতৃত্বে অামাদের গাড়িবহরে হামলা চালায়। হামলায় অামার গাড়িসহ ৭-৮টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে ঢাকা-১৪ অাসনের ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত এমপি প্রার্থী সাজু ও জেএসডি সভাপতি অা স ম অাব্দুর রবের গাড়িচালকসহ ২৫-৩০ জন অাহত হয়েছেন।
শুক্রবার পল্টনের জামান টাওয়ারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সন্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল বলেন, অাজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে অামাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এটা শহীদদের অবমাননা। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতীয় নেতাদের ওপর অাক্রমণ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অাক্রমণের শামিল। এই দুর্বৃত্তায়নকারী অাওয়ামী লীগের মুখে স্বাধীনতার কথা মানায় না।
তিনি বলেন, এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা দেশপ্রেমিক কোনো মানুষের কাজ হতে পারে না। যেসব ছোকরা-টোকাই অামাদের ওপর হামলা করেছে, তারা দুই পয়সার ভাড়াটিয়া। তোমরা এসব নোংরা কাজ করে কয় পয়সা পাও? দুই পয়সার কাজ করো! এটা বাদ দিয়ে অামার কাছে অাসো, অামি তোমাদের চার পয়সা দেবো। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় অামরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
কামাল হোসেন বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সবাই আইনের আশ্রয় ও সাহা্য্য পাবে। অথচ বিজয়ের মাসে শহীদ দিবস হামলা করে বঙ্গবন্ধুর সই করা সংবিধানকে অমান্য করেছে। শহীদ দিবসে এ ধরনের হামলা কোন দেশপ্রেমিক করতে পারে না।
ঐক্যফ্রন্ট নেতা বলেন, সেখানে পুলিশের অাচরণ বিজয়ের মাসে বঙ্গবন্ধুর কথাকে অমান্য করেছে। বিজয়ের মাসকে অমান্য করেছে। সংবিধানকেও অবমাননা করেছে। দেশে কোনো সংবিধান আছে? অামার মনে হয় না। তারা বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষরিত সংবিধানকে উপহাসের বস্তু বানিয়েছে। এটা একটি সভ্য দেশ। যারা দেশ শাসন করছে, স্বাধীনতার এতো বছর পরেও এ ধরনের হামলা করে, লজ্জা পাওয়া উচিত।
এসময় পুলিশ-প্রশাসনের উদ্দেশে ড. কামাল বলেন, যেসব পুলিশ অন্যায়ভাবে প্রার্থী ও তার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে চলেছে, তারা কেন এসব করছে? জেনে রাখো, চিরদিন কেউ ক্ষমতায় থাকে না। আর কোনো সরকারও অাইনের উর্ধ্বে না। এই সরকার আর ১৬ দিন ক্ষমতায় আছে। সুতরাং বেআইনি আদেশ মানবে না। জেনে রাখো, একদিন জবাবদিহি করতে হবে।
মহাপুলিশ পরিদর্শকের উদ্দেশে তিনি বলেন, আইজিপি সাহেব আপনাকে আমি লিখিতভাবে চিঠি পাঠাবো। আপনার পুলিশদের বিষয়ে যা শুনছি তাতে আমি উদ্বিগ্ন। আপনার বিষয়ে আমার ভালো ধারণা ছিল। আমি আপনাকে আজকের ঘটনার তথ্য দেবো। ধারণা করছি যে তথ্য দেব আপনি আপনার বিশ্বস্ত লোক দিয়ে সেগুলো তদন্ত করবেন। কথা দিচ্ছি সব ধরনের সাহায্য করবো।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অাসম অাব্দুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান অাব্দুল অাউয়াল মিন্টু, নাগরিক ঐক্যের অাহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজা কিবরিয়া প্রমুখ।
/পিবিডি/আরাফাত