• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বিএনপির ইশতেহার তরুণদের সঙ্গে প্রতারণা: নানক

প্রকাশ:  ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৪:৫৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বিভ্রান্তিকর ও তরুণদের সঙ্গে প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নানক বলেন, তরুণদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কথা বলেছে। কিন্তু বিএনপি তাদের ইশতেহারে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরোপুরি তুলে দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা বিভ্রান্তিকর ও মেধাবী তরুণদের সঙ্গে প্রহসন মাত্র। সস্তা জনপ্রিয়তায় বিএনপির প্রতিশ্রুতি দেশের তরুণদের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না।

তিনি বলেন, বয়সসীমা নিয়ে বিএনপির এই প্রতিশ্রুতি পৃথিবীর কোথাও নেই। এতে করে দেশে বেকারকত্বের সংকট আরও বৃদ্ধি পাবে। আমাদের মহান নেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মেধাবীদের মেধা, যোগ্যতা, সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধি পরিণত করতে চান। তাই ইশতেহারে আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে— তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি একদিকে দুর্নীতি ও মুদ্রা পাচার রোধের অঙ্গীকার করছে, অন্যদিকে মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা দেশে-বিদেশে পাচার করছে, যা তাদের মনোনয়ন বঞ্চিত কর্মীদের বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে তথাকথিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার সাক্ষ্যে প্রমাণিত হয়েছে। তাদের পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনা হয়েছে। দেশবাসী জানে, বিএনপি-জামায়াত দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। একজন দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী তারেক রহমানকে দলের চেয়ারম্যান বানাতে,যারা রাতের অন্ধকারে তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে পারে, সে দলের মুখে দুর্নীতি, অর্থপাচার রোধের অঙ্গীকার হাস্যকর।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, দেশবাসী জানে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। হত্যা-সন্ত্রাস, সংখ্যালঘু নির্যাতন, দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়নের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। শিক্ষাঙ্গনে অস্ত্রের ঝনঝনানি বেজে উঠবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায়, বাংলাদেশ সমৃদ্ধ, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র নির্মাণের স্বপ্ন সুদূরপরাহত হবে। তাই আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদেরকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করবে। আমরা বিএনপিকে আহ্বান জানাবো— আপনারা গণতান্ত্রিক রাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন। উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রাজনীতি গ্রহণ করুন।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ শিরোনামে ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারে দেশের মানুষের মধ্যে যেমন ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে, অন্যদিকে বিএনপি ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারে দেশবাসীকে আবারও চরম হতাশ ও বিভ্রান্ত করেছে। কোনও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে এ ধরনের ইশতেহার দেশের মানুষ আশা করে নাই। মহান বিজয়ের মাসে ঘোষিত তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষাবলম্বন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক বাংলাদেশকে বরাবরের মতোই চরমভাবে আঘাত করেছে বিএনপি নির্বাচনী ইশতেহার। বিএনপির এই ইশতেহার নিবন্ধন বাতিল হওয়া রাজাকার ও আলবদরদের পোষণ ও পুনর্বাসনের ইশতেহার। বিএনপির এই ইশতেহার নিবন্ধন বাতিল হওয়া যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আলবদরের দল জামায়াতকে রাজনৈতিক বৈধতা দেওয়ার ইশতেহার। বিএনপির এই ইশতেহার দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দানের ইশতেহার।

এক প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, বিভিন্ন সময় বিএনপি আইএসআই এর সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছে। এ বৈঠকের পর আমরা বুঝতে পেরেছি তারাই নির্বাচন বানচালের গভীর ষড়যন্ত্র করছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর সবুর, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মাহরুফা আখতার পপি প্রমুখ।

/পিবিডি/আরাফাত

জাহাঙ্গীর কবির নানক
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close