• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

কুয়েত থেকে ৩০০ বাংলাদেশি ফেরত আসছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ:  ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক

কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলার দায়ে তিন শতাধিক শ্রমিককে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এরই মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছে দেশটির সরকার।

কুয়েতের আইন অনুযায়ী, হাঙ্গামাসহ নানা বিশৃঙ্খলাপূর্ণ কাজে জড়িত থাকা বিদেশিদের ফেরত পাঠানো বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই অনুযায়ীই প্রক্রিয়া শুরু করেছে দেশটির সরকার। ভবিষ্যতে যাতে তারা কুয়েতে ঢুকতে না পারেন সেজন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের রাখার অনুরোধ করলেও তা গ্রহণ করবে না কুয়েত সরকার। কুয়েতস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন,কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কয়েক শতাধিক বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির আইন-প্রয়োগকারী সংস্থা। দূতাবাসের মতো স্পর্শকাতর স্থানে হামলার তদন্ত করছে কুয়েতের বিভিন্ন সংস্থা। বাংলাদেশিদের বিষয়ে আইন অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো কথা গ্রাহ্য হবে না। দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ও আজ কুয়েতে সরকারি ছুটি।

শুক্রবার কুয়েতের বিভিন্ন আইন-প্রয়োগকারী সংস্থা বাংলাদেশ দূতাবাসের তছনছকৃত অংশ দেখে গেছেন। এছাড়া সিসিটিভি’র ভিডিও ফুটেজ নিয়ে গেছেন। দূতাবাসের তরফ থেকে ভাঙচুরকৃত অংশগুলো মেরামত করা হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম বলেন, রোববার থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দিতে কোনো সমস্যা হবে না বলে আশা করছি। কারণ নেটওয়ার্ক কানেকটিং ছাড়া সব কাজ এরই মধ্যে করা হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশি শ্রমিকরা কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাও করে ভাঙচুর করে। তারা দূতাবাসের এইচওসি এবং কনস্যুলার আনিসুজ্জামানকে মারধর করেছে। এ ছাড়া কনস্যুলারকে বাঁচাতে গিয়ে পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার আরো দুই কর্মকর্তা মারধরের শিকার হন। এসব ঘটনা দূতাবাসের সিসিটিভি’র ভিডিও ফুটেজে রয়েছে। এসব ফুটেজ কুয়েতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাও করার আগে ফেসবুকে লাইভ করেন ঘেরাওকারী বাংলাদেশিরা। এসব লাইভে তারা জানান, সাত থেকে আট লাখ টাকা খরচ করে কুয়েতে এসেও ভালো নেই আমরা।

কুয়েত
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close