সংরক্ষিত নারী আসন: প্রতি আসনে আ’লীগের প্রার্থী ৩৫ জন

একাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আনুপাতিক হারেপাচ্ছে ৪৩টি আসন। এসব আসনে প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন এক হাজার ৫১০ জন। গড়ে প্রতিটি আসনের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ৩৫ জন।

সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নের জন্য আওয়ামী লীগের ফরম বিক্রি শেষ হয়েছে শুক্রবার। এই ফরম বিক্রিতে মোট আয় হয়েছে চার কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ সাংবা‌দিক‌দের এসব তথ্য জানান। এদিকে শুক্রবার পর্যন্ত জমা পড়েছে ১৪১৫ টি ফরম। আগামী রোববার পর্যন্ত ফরম জমা দিতে পারবেন সংগ্রহকারীরা।

গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ফরম বিক্রি উদ্বোধন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এবারই এতো বিপুল সংখ্যক নারী এমপি হতে চেয়ে শাসক দল আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন ফরম কিনলেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চিত্রনায়িকার ফরম কেনা নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

তবে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একাধিক বক্তব্যে বলেছেন, ত্যাগী ও যাদের দলের জন্য অবদান আছে মনোনয়নের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধীকার দেয়া হবে। পাশাপাশি যারা এবারের নির্বাচনী প্রচারে কাজ করেছেন তারাও মনোনয়নের জন্য বিবেচিত হবেন। একইসঙ্গে অভিনেত্রীদেরও কেউ কেউ এ মনোনয়ন পেতে পারেন।

মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নারী নেত্রীরা যেমন আছেন, তেমনি আছেন চলচ্চিত্রজগৎ ও ছোট পর্দার তারকারা। আছেন অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত নারীও। সংরক্ষিত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী বেশি হওয়ার কারণ, দলীয় মনোনয়ন পেলেই সাংসদ হওয়া শতভাগ নিশ্চিত।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ও দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সংরক্ষিত নারী এমপি পদে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সংরক্ষিত নারী এমপি হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার উপযোগীদের নাম চূড়ান্ত করছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ত্রিশজন নারীনেত্রীর নাম চূড়ান্ত করেছেন শেখ হাসিনা, যাদের সংরক্ষিত নারী এমপি পদে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ৩৫০ আসনের সংসদে ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। ৩০০ আসনে সরাসরি ভোট হলেও সংরক্ষিত আসন বণ্টন হয় ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে।

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে এবার আওয়ামী লীগ ৪৩টি, জাতীয় পার্টি ৪টি, বিএনপি ১টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ১টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোটভুক্ত হয়ে ১টি সংরক্ষিত আসন পেতে পারে।

পিবিডি-এনই