২৭ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

পুলিশের বর্বর নির্যাতনের ঘটনায় আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় না হলে ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় ঐক্যবদ্ধভভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে।

রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সামনে সাংবাদিক কামরুল হাসান ও কিরণ শেখের উপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে এক মানববন্ধন থেকে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়। মানববন্ধনের আয়োজন করে সাধারণ সাংবাদিক বৃন্দ।

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ'র সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেব বাদশা। তার বক্তব্যে তিনি জানান, সাংবাদিকদের বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে অপরাধে যুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিচার না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হবে।

তিনি বলেন, বরাবর পুলিশ বলছে সাংবাদিক তাদের ভাই। এরপরেও কেন নির্যাতন করা হচ্ছে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময়। তাহলে কিভাবে ভাই হোলাম।

ডিআরইউ'র বর্তমান সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, কিছু দিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কোন গণতান্ত্রিক কর্মসূচিততে বাধা দিবে না। তাহলে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে পুলিশের নির্যাতন কোন গণতান্ত্রিক ধারা।

তিনি বলেন, পুলিশের এমন ন্যাক্যারজনক ঘটনার জন্য আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কোন ধরনের আই ওয়াস যেন না হয়।

সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় কেন নির্যাতন চালিয়েছে পুলিশ? প্রশ্ন রাখেন এই সাংবাদিক নেতা।

সাংবাদিক সমাজকে এক হয়ে আন্দোলন করতে হবে এমন আহ্বান জানিয়ে প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, যেভাবে হোটেলে বন্ধী করে সাংবাদিকদের তাচ্ছিল্য করা হয়েছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ না হলে এই মানববন্ধনকেও তাচ্ছিল্য করা হবে।

সাংবাদিক নির্যাতনকারী পুলিশদের কঠোর শাস্তি না দিয়ে যদি আই ওয়াস করা হয় তা সাংবাদিক সমাজ মেনে নিবে না বলেন তিনি।

ডিআরইউ'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরশালিন নোমানী বলেন, পুলিশের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি না হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

ডিআরইউ'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, কিরণ ও কামরুলের সাথে পুলিশ যে ঘটনা ঘটিয়েছে তাতে অামরা উদ্বিগ্ন। এই নিপীড়ণ প্রতিহত করতে সকল সাংবাদিককে একসাথে অান্দোলন করতে হবে।

মানব্বন্ধন পরিচালনা করেন ডিআরইউ'র সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদন কাফি কামাল।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন, বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক মঈন খান, বিএফইউজের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব অমিয় ঘটক পুলক, সাবেক কোষাধক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম বিলু, ডিআরইউ সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শেখ মামুনুর রশিদ, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মেহেদী আজাদ মাসুম, ডিইউজে'র জনকল্যাণ সম্পাদক উম্মুল ওয়ারা সুইটি নয়ন মুরাদ, ডিআরইউ কল্যাণ সম্পাদক কাওছার আজম, দৈনিক দিনকালের বার্তা সম্পাদক রাশেদুল হক, দৈনিক মানবকন্ঠের প্রধান প্রতিবেদক বাছির জামাল, এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার মাহমুদুল হাসান গুরু, সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা ধ্রুব প্রমুখ।