• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এনে দিয়েছে’

প্রকাশ:  ১৪ নভেম্বর ২০১৭, ২১:০৭
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এনে দিয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অফ দি ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’ এ যুক্ত হওয়া উপলক্ষে আয়োজিত এক আনন্দ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

সম্পর্কিত খবর

    আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমি নিজস্ব নন্দনমঞ্চে এ আনন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অ্যাক্রোবেটিক শো প্রদর্শিত হয়।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব ইব্রাহিম হোসেন খান ও বাংলাদেশ বেতারের সাবেক উপ-পরিচালক আশফাকুর রহমান খান। সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

    নির্মলেন্দু গুণ বলেন, তিনি লেনিন, মহাত্মা গান্ধী, ফ্রিদেল কেস্ত্রো, মাও সেতুংসহ বহু বিশ্বনেতার পৃথিবী সেরা ভাষণ শুনেছেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মতো সেগুলো এতো জীবন্ত ছিল না।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণে এমন একটা সম্মোহনী শক্তি ছিল, যা সাড়ে ৭ কোটি বাঙালিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করেছিল। বাংলার নারী-পুরুষ, তরুণ, বৃদ্ধ, যুবা, কিশোর, শিশু সবাই মুক্তিযুদ্ধে যেতে আর দ্বিধা করেনি।

    কবি বলেন, পৃথিবীর অন্য সেরা ভাষণগুলো এখন ইতিহাস বা ইতিহাসের পাঠ্য হয়ে গেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আজো আমাদের জীবনের চলার পাথেও, নানা আন্দোলনের প্রেরণা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনায় জাগ্রত থাকার মূলমন্ত্র হিসেবে কাজ করছে।

    তিনি বলেন, ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত। নির্মলেন্দু গুণ পরে তার লেখা ‘স্বাধীনতা এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতাটি পাঠ করে শোনান।

    জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ আনন্দ অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে দীপা খন্দকারের পরিচালনায় ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাওগো..’; অনিক বোসের পরিচালনায় ‘ধন্য মুজিব ধন্য..’ এবং ‘বাংলার হিন্দু বাংলার মুসলিম..’; শিল্পকলা একাডেমি নৃত্য দলের পরিবেশনায় ‘দুঃখিনী বাংলা জননী বাংলা..’ এবং ‘যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা যমুনা..’; আনিসুল ইসলাম হিরুর পরিচালনায় ‘মুজিব আছে বাংলার ঘরে-ঘরে..’ এবং ‘সাড়ে সাত কোটি মানুষের আর একটি..’; ওয়ার্দা রিহাবের পরিচালনায় ‘মুজিব মানে আর কিছু না..’ এবং ‘শোন একটি মুজিবরের কণ্ঠ থেকে..’; কবিরুল ইসলাম রতনের পরিচালনায় ‘বিদ্রোহী’ এবং এমআর ওয়াসেকের পরিচালনায় ‘তুমি বলেছিলে এবারের সংগ্রাম..’ ও ‘মুজিব মানে বিজয়ের গান..’সহ বিভিন্ন গানের কথায় সমবেত নৃত্য পরিবেশিত হয়।

    অনুষ্ঠানে কবিকন্ঠে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি ড. মোহাম্মদ সামাদ ও কবি আসলাম সানী এবং আবৃত্তি করেন শিল্পী হাসান আরিফ। সবশেষে পরিবেশিত হয় শিল্পকলা একাডেমি অ্যাক্রোবেটিক দলের পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী। সূত্র: বাসস।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close