সেদিন অঝোর ধারায় কেঁদেছিলাম: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ দেশে বারবার ক্যু হয়েছে। স্বাধীনতার পর ১৯টা ক্যু হয়েছে এই দেশে। আর স্বাধীন বাঙালির জনগণের ক্ষমতাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ক্যান্টনম্যান্টে।
শনিবার (২১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দুপুর সাড়ে তিনটার পরে গণ সংবর্ধনাস্থলে আসনে তিনি।
সম্পর্কিত খবর
বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, অস্ট্রেলিয়া থেকে ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ’ অ্যাওয়ার্ড অর্জন ও ভারতের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি প্রাপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীকে এই গণ সংবর্ধনার আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ও আমার ছোট বোন রেহানা পচাত্তরের ১৯ জুলাই জার্মানি গিয়েছিলাম। মানুষ বিদেশ যেতে আনন্দ পায়। কিন্তু আমি সেদিন অঝোর ধারায় কেঁদেছিলাম। বাংলাদেশে ক্যুর কথা শুনে আমার মুখ দিয়ে সেদিন (১৫ আগস্ট ১৯৭৫) একটি কথা বের হয়েছিল। বলেছিলাম, তাহলে তো আমার বাবা কেউ বেঁচে নেই। পরে দেখলাম আমার কথাই সত্যি হলো।
এদিকে ‘স্মরণকালের সবচেয়ে বড়’সংবর্ধনা সফল করতে বেলা ১১টা থেকেই উৎসব আমেজে দলে দলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। দুপুর চারটা ১৯মিনিটের দিকে সংবর্ধণার মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। তার আগে দলের সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির পক্ষ থেকে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা হয়।
বিকেল ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সংবর্ধণায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সংবর্ধণায় প্রধানমন্ত্রী সন্তান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়-ও এই আয়োজনে উপস্থিত হয়েছেন।
এর আগে, গত ৭ জুলাই শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়ার ঘোষণার কথা জানিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে গত ১৯ জুন দলের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৭ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২১ জুলাই বিকেল ৩টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
গণসংবর্ধনায় অভিনন্দন পত্র পাঠ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমদু এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। সংবর্ধনা মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
/অ-ভি