‘বইটি নির্বাচনের পরও প্রকাশ করতে পারতেন এস কে সিনহা’

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার মনে কষ্ট থাকতে পারে, জ্বালা থাকতে পারে, তার লেখা বই প্রকাশ করবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে বিদেশের মাটিতে কেন? নির্বাচন সামনে রেখে কেন? এ বই আরও দুই-তিন মাস পরও প্রকাশ করতে পারতেন।’

শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস এলাকায় বিআরটি (বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট) প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বই প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা এ সময় প্রকাশ করা, এটাকে নিয়ে সরকারবিরোধী উসকানি এ সময় তিনি না দিলেও পারতেন।’

তিনি বলেন, ‘বিদেশে গিয়ে মনগড়া তথ্য দিয়ে সরকারবিরোধী মহলের জন্য, তাদের অপপ্রচারের সুবিধা করার জন্য যদি এ সময় বইটি প্রকাশ করে থাকেন, তাহলে মনে হয় একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি, তাঁর দায়িত্বশীলতার বিষয়টি প্রশ্নচিহ্ন হয়ে ঝুলে থাকে।’

আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক বলেন, ‘যার খুশি তিনি সব বই লিখবেন, সে ব্যাপারে আমাদের তো কোনো মন্তব্য করার কিছু নেই। তবে আমি অলরেডি বিষয়টা নিয়ে একটা জেনারেল কমেন্ট করেছি, আপানারা দেখেছেন। আমার শুধু একটাই প্রশ্ন যে বইটি প্রকাশ করুন; তার লেখা বই তিনি প্রকাশ করবেন, এটাই স্বাভাবিক। বিদেশের মাটিতে কেন? আর নির্বাচন সামনে রেখে এ সময়ে কেন?’

এসময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং মত প্রকাশে কোনও বাধার সৃষ্টি করবে না দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি করা হয়েছে শুধু ডিজিটাল ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। এতে কারো আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।’

তিনি বলেন, ‘এ আইনের মাধ্যমে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও গণতন্ত্র এ দু’টি অনুষঙ্গ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সে ব্যাপারে সরকার, প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে কণ্ঠে মিলিয়ে আমরা সকলকে আশ্বস্ত করছি যে এখানে স্বাধীন সাংবাদিকতা, ইনডিপেনডেন্ট জার্নালিজম, ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশনে কোনোভাবেই গণতন্ত্রের এ দু’টি অনুষঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।’

যুক্তফ্রন্টকে স্বাগত জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিভিন্ন দল ও নেতাদের ঐক্য প্রক্রিয়া, যুক্তফ্রন্টকে সরকার স্বাগত জানায়। তারা সভা–সমাবেশেরও অনুমতি পাচ্ছে। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, পুলিশ কমিশনারকে। যারাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভা করতে চান, তাদের অনুমতি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার আরিফুল ইসলাম, বিআরটির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. সানাউল হক, সড়ক ও জনপথের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ঢাকা জোন) আবদুস সবুর, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ঢাকা সার্কেল) মো. সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিন রেজা প্রমুখ।

-একে