আয়কর মেলায় পাওয়া যাবে যেসব সুবিধা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীনে ‘আয়কর প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ধারাবাহিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ’ স্লোগানকে সামনে রেখে সারাদেশে একাযোগে ১৭৩টি স্থানে অনুষ্ঠিত হয়েছে আয়কর মেলা ২০১৮। নবমবারের মতো আয়োজিত এবারের আয়কর মেলা ১৩ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে ৭দিন, জেলা শহরগুলোতে ৪দিন এবং আর ৩২টি উপজেলায় ২দিন এবং ৭০টি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় ১ দিন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা শহরে আগামী সাত দিনের মধ্যে আয়কর মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।
সম্পর্কিত খবর
রাজধানীর মেলা হবে মিন্টোরোডের অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে। এ ছাড়া সব জেলা শহরে চার দিন এবং ৩২টি উপজেলায় দুই দিন মেলা হবে। পাশাপাশি ৭০টি উপজেলায় এক দিন ভ্রাম্যমাণ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারের মেলায়ও করদাতারা আয়কর বিবরণীর ফরম জমা দিতে পারবেন।
এবারের কর মেলায় করদাতারা ১০ ধরনের সেবা পাবেন। সেবাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা; রিটার্ন জমার জন্য কর অঞ্চলভিত্তিক আলাদা বুথ; নতুন ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ইটিআইএন) ও পুরোনো টিআইএনের বদলে নতুন ইটিআইএন নেওয়ার সুবিধা; কর পরিশোধে ই-পেমেন্টের সুযোগ; মুক্তিযোদ্ধা, নারী, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ করদাতার জন্য আলাদা বুথ; সোনালী, জনতা ও বেসিক ব্যাংকের বুথের মাধ্যমে কর পরিশোধের সুবিধা; অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (ইআরডি) বিভিন্ন সংস্থার তথ্য জানার জন্য আলাদা বুথ; মেলা প্রাঙ্গণে আয়কর রিটার্ন, ইটিআইএন আবেদন ফরম ও চালান ফরম সরবরাহ; করদাতার জন্য সহায়তা কেন্দ্র এবং ফটোকপি সুবিধা। এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, একই ছাদের নিচে সব সেবা মিলবে। করদাতারা শুধু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে আনবেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, মেলা আয়োজনের পাশাপাশি করনেট সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জনপ্রতিনিধিদের জন্য ই-টিআইএন বাধ্যতামূলক করা, উপজেলা পর্যায়ে কর অফিস সম্প্রসারণ এবং ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের জন্য জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা।
তিনি জানান, বর্তমান ৩৫ লাখ ই-টিআইএনধারীর সংখ্যাকে আগামী ২ বছরে ৫০ লাখে উন্নীত করা হবে। এখন মাত্র ২০ লাখ আয়কর রিটার্ন দাখিল হচ্ছে। রিটার্ন দাখিলের এই সংখ্যা ৩৫ লাখে উন্নীত করা হবে।
ওএফ