• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ভোট ভাগ্য সন্ত্রাসীদের হাতে ছেড়ে দেওয়া যাবে না: সিইসি

প্রকাশ:  ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:৪০ | আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ভোট ভাগ্য সন্ত্রাসীদের হাতে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন সিইসি।

প্রত্যেক ভোটার বিশেষ করে নারী ভোটাররা যাতে অবাধ ও সুষ্ঠভাবে ভোট দিতে পারে সে পরিবেশ নিশ্চত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান কে এম নূরুল হুদা।

সিইসি বলেন, একাদশ নির্বাচনকে ঘিরে পেছনের রেষ টানা প্রয়োজন। সেটি হলো ২০১৪ সালের নির্বাচন। সেই নির্বাচনের কথা ভুলে গেলে চলবে না। তখন যে ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। সেই ঘটনার আলোকে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল সে নির্বাচনে আমরা কি দেখেছি, মাঠে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও প্রশাসনের লোক থাকা সত্ত্বেও প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ সদস্য ও অন্যান্য সদস্যদের নিহত হতে হয়েছে। শত শত মানুষের প্রাণ গেছে। শত শত প্রতিষ্ঠান ভস্মিভূত হয়েছে। এখানে যারা পুলিশ প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা ও অন্যান্য সংস্থার লোক রয়েছেন, তারা যেন জনগণের ভোটের জানমাল এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেন সে ব্যাপারে আপনাদের নির্দেশ দিচ্ছি।

কেএম নুরুল হুদা বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পরের দিন নির্বাচনী প্রচারণায় দুটি প্রাণ হারানোর ঘটনা অত্যান্ত দুঃখজনক। এটা কি শুধুই রাজনৈতিক ঘটনা নাকি ২০১৪ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তির পাঁয়তারা। এসব ঘটনার খোলস থেকে সকলেরই বের হয়ে আসতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দল ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সচেষ্ট থাকতে হবে, সহিংসতা সৃষ্টির ঘটনার মধ্যে কোনো তৃতীয় শক্তির ষড়যন্ত্র চলছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। নির্বাচন নিয়ে যখন মানুষের স্বতঃস্ফুর্ততার সৃষ্টি হয়েছে। ঠিক তখনি মানুষ খুনের ঘটনা, হামলার ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করার কারণ নেই। এদেশে স্বাভাবিক সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা হোক। তা না চাওয়ার ফলে প্রভাবশালী শক্তির ইনভলব থাকতেও পারে। রাজনৈতিক মহল, নির্বাচন কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন, আইন শৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সমাজের সচেতন মহলসহ সকলকে সচেতন থাকা প্রয়োজন।

ইভিএম বিষয়ে সিইসি বলেন, এবারের নির্বাচনে কয়েকটি আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে চাই। কারণ মাস্তানদের হাতে ভোটারদের সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেওয়া যায় না। ব্যালটবাক্স ছিনতাইকারীর হাত থেকে ভোটারদের মুক্তি দিতে হবে। বর্তমানে যে পদ্ধতিতে ভোট চলছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ভালো হবে ইভিএম পদ্ধতি।

ইভিএম একটি বিকল্প পদ্ধতি, যার মাধ্যমে ভোটারদের ভোটের নিশ্চয়তা থাকবে। যেখানে ইভিএম ব্যবহার হবে ওইসব এলাকায় আলাদা নজর দেওযা এবং আলাদাভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। ইভিএম সবখানে প্রয়োগ করা হলে এদেশের নির্বাচনের ৮০ ভাগ অনিয়ম কমে আসবে বলে মনে করি।

তিনি বলেন, পুরো নির্বাচন ভালোভাবে শেষ করতেই আমাদের সব আয়োজন। আনসার, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, গোযেন্দা সংস্থা সকলেই দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে কাজ করবেন। তার বাইরে প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। সকলকে একটা কথাই বলব, সবাই মিলে সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে ভোট শেষ করতে হবে।

সিইসি আরও বলেন, ভোটের মাঠ সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ রাখতে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে হবে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে সেক্ষেত্রে বিজিবিকে সম্পৃক্ত করে কাজ করতে হবে। কারণ বিজিরির এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা রয়েছে।

প্রত্যেক এলাকার মাস্তান, সন্ত্রাসীদের তালিকা করার নির্দেশনাও দেন সিইসি কেএম নুরুল হুদা।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটেরিয়ামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সমন্বয় সভা শুরু হয়।

সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার ভিডিপিসহ সংশ্লিষ্ট বাহিনী ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা রয়েছেন।

পিবিডি/জিএম/এসএম

সিইসি,ইসি,আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close