• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

রফতানিকারকদের জন্য ‘উৎসে কর’ শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ

প্রকাশ:  ০৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:১৬
বিজনেস ডেস্ক

সদ্য শেষ হওয়ার বছরকে পিছনে পেলে নতুন বছরের সূচনা ঘটেছে। আর এ নতুন বছরেকে স্বাগত জানিয়ে ব্যবসায়ীদের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ে আসলো নতুন সুখবর। দেশের তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের জন্য এখন থেকে শতভাগ রফতানিমুখী শিল্পে ‘উৎসে কর’ দিতে হবে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ। এর আগে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ কর দিতে হতো।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে কর ছাড়ের এই সুবিধা পাবে রফতানিকারকরা। উৎসে কর আদায় করা হয় মোট রফতানি মূল্যের ওপর। অর্থাৎ কোনো রফতানিকারক ১০০ টাকার পণ্য রফতানি করলে ২৫ পয়সা কর হিসেবে দিতে হবে। আগে যেখানে কর দিতে হতো ৬০ পয়সা। অর্থাৎ আগের চেয়ে কর কমেছে ৫৮ শতাংশ।

এদিকে তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ সুবিধা দেয়া হলেও এনবিআর বলেছে, পোশাকসহ অন্যসব রফতানিমুখী শিল্পে সমতা আনতে একই হারে উৎসে করহার নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে মজুরি বৃদ্ধির কারণে অনেক কারখানা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, এই যুক্তিতে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ উৎসে কর কমাতে এনবিআরে আবেদন করে। সেই আবেদন বিবেচনায় নিয়ে গত ২ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর।

নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী, পোশাক খাতের ন্যূনতম মজুরি মাসিক ৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ একজন শ্রমিক কোনো পোশাক কারখানায় চাকরি পেলে শুরুতেই বেতন পাবেন ৮ হাজার টাকা, যা আগে ছিল ৫ হাজার ৩০০ টাকা। ফলে নতুন বেতন কাঠামোতে গড়ে বেতন বেড়েছে ৫১ শতাংশ।

সর্বশেষ, পোশাকসহ রফতানি খাতে ‘উৎসে কর’ কমানো হয়েছিল গত সেপ্টেম্বরে। তখন ১ টাকা থেকে ৬০ পয়সা (০.৬০%) নির্ধারণ করা হয়।

২০১৪-১৫ অর্থবছরে উৎসে করহার ছিল দশমিক ৩০ শতাংশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজেটে তা দ্বিগুণ করে দশমিক ৬০ শতাংশ করা হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে উৎসে কর এক দশমিক ৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত দশমিক ৭০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। একই হারে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উৎসে কর দেন উদ্যোক্তারা। শেষ পর্যন্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছর এটি দশমিক ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।

পিবিডি/ওএফ

ব্যবসায়ী,রফতানি,আমদানি,পোশাক
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close