• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

রাষ্ট্রপতি চাইলেও রাজনীতিবিদরা কেন ডাকসু নির্বাচন চান না?

প্রকাশ:  ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ০১:০২
পীর হাবিবুর রহমান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন সোমবার হয়েছে। আওয়ামী লীগপন্থি নীল দল একটি সদস্যপদ ছাড়া সব কটি পদে বিজয়ী হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতপন্থি সাদা দলের করুণ পরাজয় ঘটেছে। নিয়মিত শিক্ষকদের নির্বাচন হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের সুশীতল ছায়ায় থাকা বিজয়ী শিক্ষকরা আমোদে হাসছেন। উল্লাস করছেন। মহাধুমধামে এবারও সিনেট নির্বাচন হচ্ছে। গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধিরা সিনেটে যাবেন। নিয়মিত তারা যাচ্ছেন। তাদের নির্বাচন হচ্ছে। কর্মচারীদের নির্বাচন হয়, সবার ভোটের অধিকার রয়েছে। আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হয় দেশে, নির্বাচন হয় সব প্রেস ক্লাবের, ভোটের উত্সব হয়ে যায় বিএমএসহ সব পেশাজীবীর।

সংঘাত-সহিংসতা ও নিয়মের মধ্য দিয়ে ভোট হয় স্থানীয় সরকারের, ভোট হয় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনসহ সব সংগঠনের।

সম্পর্কিত খবর

    সব বিনোদন ক্লাবে প্রতি বছর ভোট ঘিরে উত্সব হয়ে যায়। নিয়মিত জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে। স্কুল গভর্নিং কমিটির নির্বাচন হয় পোস্টার ছাপিয়ে, নির্বাচন হয় বিভিন্ন আবাসিক এলাকার কল্যাণ সমিতির। ঠিকাদারদেরও নির্বাচন হয়, পরিবহনশ্রমিকদেরও হয়। নির্বাচন হয় না কেবল ছাত্রসমাজের। দেশের ছাত্রসমাজ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোয় ছাত্র সংসদ ফি দেয়, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের চাঁদা দেয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলো আজ অগণতান্ত্রিক অভিশপ্ত অন্ধকার সময়ের মুখোমুখি। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে ডাকসু, রাকসু, চাকসু, জাকসু কোথাও কোনো ছাত্র সংসদ নির্বাচন নেই। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় গণতান্ত্রিকভাবে নেতৃত্বই নির্বাচিত হয় না, সমাজও বিকশিত হয়।

    পাকিস্তানের লৌহমানব আইয়ুব খানের ফৌজি শাসনামলেও বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়মিত হয়েছে। নিয়মিত হয়েছে বলেই জাতীয় রাজনীতিতে স্বাধীনতাসংগ্রামী অসংখ্য নেতা-কর্মীর অভিষেক ঘটেছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়মিত হয়েছিল বলেই অসংখ্য আদর্শিক সৃজনশীল, মেধাবী নেতৃত্ব সমাজ যেমন পেয়েছে, তেমন ছাত্র রাজনীতি হয়ে উঠেছিল আদর্শ, মেধা ও দেশপ্রেমনির্ভর। সাংগঠনিক শক্তিতে তারুণ্যনির্ভর গৌরবের ঠিকানা। শুধু আইয়ুব খান নন, ’৭১-এর জল্লাদ ইয়াহিয়াা খানের আমলেও ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়মিত হয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে যখন মানুষের পরনে কাপড় নেই, পেটে ভাত নেই, রাস্তা নেই, ব্রিজ নেই, সেই কঠিন পরিস্থিতির মুখেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্র সমাজের নির্বাচনের অধিকার বহাল রেখেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে পরাজয়বরণ করেছে, তবুও ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়মিত হয়েছে।

    বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জিয়া-এরশাদের সামরিক শাসনকবলিত বাংলাদেশে নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে। যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী নেতৃত্ব আর ছাত্রসমাজ নিয়ত সামরিক শাসনের অবসান চেয়েছে। তবু ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ রাখার ঔদ্ধত্য তারা দেখাননি। ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের নেতৃত্বে সামরিক শাসনবিরোধী গণতন্ত্রমুক্তির চূড়ান্ত আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল। সেই আন্দোলনে জাতীয় ঐক্যের শুভসূচনা ঘটেছিল। ছাত্রসমাজের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা গণআন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়।

    সেই নব্বইয়ের উত্তাল গণঅভ্যুত্থানে দেশের সব গণতান্ত্রিক শক্তির ইস্পাতকঠিন ঐক্যই শুধু গড়ে ওঠেনি, সামরিক শাসনের অবসান ঘটেছিল, গণতন্ত্রের নবযাত্রার সূচনা ঘটেছিল। সেই দীর্ঘ সংগ্রামমুখর দিনগুলোয় জনগণ যে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেছিল তা নিয়ে আশা-নিরাশা, হতাশা রয়েছে। কিন্তু নির্মম সত্য হচ্ছে, রাউফুন বসুনিয়া, শাহজাহান সিরাজের মতো সাহসী ছাত্রনেতাদের বুকের রক্তে অর্জিত সামরিক শাসনমুক্ত বাংলাদেশে ছাত্রসমাজ আর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মুখ দেখেনি।

    ২৭ বছর ধরে ছাত্রসমাজ সবচেয়ে বেশি অধিকারহারা হয়েছে। সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী ছাত্রসমাজের ঐক্য ও আন্দোলনের ফসল মো. নাজিম উদ্দিন আহম্মদকে তার বন্ধুরা এখনো রসিকতা করে বলেন ‘চাকসু ভিপি’। বয়স তার ষাটের কাছে। নব্বই সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তাকে ভিপি নির্বাচিত করার মধ্য দিয়ে তার প্যানেলকেই জয়ী করা হয়, জামায়াত-শিবিরের অন্ধকার যুগের কবল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে আলোর পথে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় জাকসুতে নির্বাচিত ভিপি এনামুল হক শামীম এখন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তারপর জাকসু আর নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি দেখেনি। ডাকসুর শেষ ভিপি আমান উল্লাহ আমান বিএনপির মন্ত্রী হয়েছেন। জিএস খায়রুল কবির খোকন ও সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এমপি হয়েছেন। তাদের পর চিরসংগ্রামী ঐতিহ্যের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ নির্বাচিত ছাত্র সংসদ দেখেনি। রাকসুর শেষ নির্বাচিত ভিপি রিজভী আহমেদ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব। শেষ দুবারের জিএস রুহুল কুদ্দুস বাবু হাই কোর্টের বিচারপতি। আজকের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ও মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ডাকসু বিজয়ী জাতীয় রাজনীতির অলঙ্কার। তার পার্টির সবেধন নীলমণি ফজলে হোসেন বাদশা রাকসুর উপহার।

    সেদিনের অগ্নিকন্যা আজকের আওয়ামী লীগ নেত্রী ও মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ডাকসুজয়ী রাজনীতিবিদ। সেদিন আইয়ুব খানের আমলে ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল বলেই ঊনসত্তরে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল। ফাঁসির মঞ্চ থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি নিয়ে বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিব ফিরে এসেছিলেন। আসাদ ও মতিউরের রক্তের ওপর দিয়ে ছাত্রসমাজের হৃদয় হরণ করা ডাকসু ভিপি তোফায়েল আহমেদ গণঅভ্যুত্থানের নায়ক হয়ে জাতীয় রাজনীতিতে অভিষেক ঘটিয়েছিলেন। আ স ম আবদুর রব ডাকসুতে প্রথম ছাত্রছাত্রীদের সরাসরি ভোটের নির্বাচিত ভিপিই নন, নির্বাচিত জিএস অকালপ্রয়াত আবদুল কুদ্দুস মাখনসহ স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতা হিসেবে স্বাধীন দেশের পতাকাই ওড়াননি, জাতীয় রাজনীতিতে নিজের অবস্থান করেছিলেন। তোফায়েল আহমেদের পর ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে প্রথম ডাকসু বিজয়ী ভিপি ছিলেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, জিএস হয়েছিলেন ডা. মোস্তাক হোসেন। আলোকিত করেছেন ছাত্র রাজনীতির গৌরবের উত্তরাধিকারিত্বকে। তাদের আগে ডাকসু বিজয়ী ভিপি, জিএস মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, মাহমুদুর রহমান মান্না, আখতারুজ্জামান, জিয়াউদ্দিন বাবলুরা এখনো জাতীয় রাজনীতিতে বিচরণ করছেন।

    ইতিহাসের নির্মম পরিহাস যে, সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীরা একটি যৌথ বিবৃতিতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানান না!

    সাবেক ডাকসু ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ উচ্চ আদালতে একটি রিট মামলা করেছেন ডাকসু নির্বাচন চেয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে তৃণমূল ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হৃদয় থেকে আকুতি জানিয়ে বলেছেন, ডাকসু নির্বাচন না হওয়ায় রাজনীতিতে নেতৃত্বের সংকট তৈরি হচ্ছে। তিনি উদ্বেগ জানিয়ে তাগিদ দিয়েছেন ডাকসু নির্বাচনের। তবু প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বন্ধ তালা খুলে দিতে কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসে না। রাজনীতিবিদরা ও ডাকসু বিজয়ী নেতারা ব্যর্থ প্রেমিক দেবদাসের মতো উদাস হয়ে পথ হাঁটেন, ডাকসু নির্বাচনের দাবি তোলেন না। যেন তাদের পাওনা ষোল আনা বুঝে নিয়েছেন। একালের ছাত্রসমাজ অধিকারহারা হলে তাদের কী আসে যায়!

    বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আসেন উপাচার্য যান। ক্ষমতাসীনদের অনুকম্পায় হাতে কর্তৃত্ব আসে। ছাত্রছাত্রীদের অধিকার ছাত্র সংসদ নির্বাচন তাদের মনে পড়ে না। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা ‘বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ’৭৩’-এর সুবাদে বুক ভরে শ্বাস নেন। রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করেন। ক্ষমতার ষোল আনা ভোগ করেন, দীর্ঘ ছুটি নিয়ে বিদেশ যান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোটা অঙ্কের সম্মানী নিয়ে যোগ দেন। রাজনৈতিক আশীর্বাদে সরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হন, বিএসইসির চেয়ারম্যান-কমিশনার হন, ফুলেফেঁপে অগাধ অর্থসম্পদের মালিক হন, বিশ্ববিদ্যালয় যে জ্ঞানের মন্দির এটি যেমন ভুলে যান, তেমন ভুলে যান ছাত্রসমাজের ন্যায্য অধিকারের কথা।

    শিক্ষক যে মানুষের শ্রদ্ধা ও সম্মানের জায়গায় বাস করেন তা ভুলে যান। তাদের সঙ্গে কলেজশিক্ষকরাও। সরকারি কলেজের শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার মধ্য দিয়ে সম্মান অর্জনের চেয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা হয়ে ক্ষমতা ও অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার নেশায় কাতর। সরকারি কলেজগুলোয় শিক্ষকশূন্যতা, শিক্ষা ভবন ছাড়তে চান না কলেজশিক্ষকরা। কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কথা কেউ ভাবেন না।

    বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোয় প্রতি বছর সাংস্কৃতিক সপ্তাহ, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বিতর্ক, বার্ষিক প্রকাশনা কিছুই হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ঘিরে নেই আদর্শনির্ভর সুস্থ ছাত্র রাজনীতির প্রতিযোগিতা। নেই নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা। ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়মিত হলে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিংয়ে ছাত্রদের কপালে টিকটিকির সুপ জুটত না। ডাইনিং ক্যান্টিনের খাবারের মান বৃদ্ধি পেত। সিটবাণিজ্য ও ভর্তিবাণিজ্যের অবসান ঘটত। মৃত্যু ঘটত চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির। শিক্ষক-শিক্ষকে মারামারির ঘটনা ঘটত না। সৃজনশীলতা, মেধা ও মননশীলতার উর্বর ভূমিই নয়, ক্যাম্পাস হয়ে উঠত জ্ঞানের মন্দির। আবাসন ও পরিবহন সমস্যার সমাধান হতো। ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়মিত হলে ছাত্র রাজনীতি আলোর সুস্থ পথে বিকশিত ও সুসংগঠিত হতো। অসংখ্য নেতার জন্ম হতো জাতীয় রাজনীতিতে, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশায় ভূমিকা রাখতেন মেধাবী ছাত্রনেতারা। সিনেট আছে সবার প্রতিনিধি আছে, নেই কেবল ছাত্র প্রতিনিধি। রাজনীতিতে বন্ধ্যত্ব চলছে, সমাজের সর্বস্তরে চলছে নেতৃত্বের সংকট। ২৭ বছর ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়াই এর একমাত্র কারণ।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্র ওয়ালিদ আশরাফ টানা ১৫ দিন অনশন করেছেন ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে। কোনো ছাত্র সংগঠন যায়নি সংহতি জানাতে। দল বেঁধে ছাত্রছাত্রীরা যাননি দর্শন দিতে। রাজনীতিবিদরা যেন খবরই পাননি। সাবেক ডাকসু ভিপি-জিএসরা ভুলেও তার সঙ্গে দেখা করেননি। একটা আবেগ অনুভূতি ও বোধহীন সমাজে বাস করছি আমরা। আমরা আমাদের অধিকারের কথা ভুলে গেছি। আমাদের চেতনার আগুন যেন নিভে গেছে। আমাদের দায়িত্ববোধ যেন গেছে হারিয়ে।

    বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুর্বল আশ্বাস আর প্রহসনের পানি-কলা খাইয়ে তার অনশন ভাঙিয়েছে। বছরের পর বছর ডাকসুসহ সব ছাত্র সংসদ নির্বাচন চেয়ে লিখে যাচ্ছি, টক শোয় বলে যাচ্ছি, অনেকেই বলাবলি করছেন ওয়ালিদের অনশন ঝাঁকুনি খেয়ে অনেকেই মুখ খুলছেন। জানি না তবু কেন যাদের ঘুম ভাঙার তাদের ঘুম ভাঙে না। জানি না রাষ্ট্রপতি ডাকসু নির্বাচন চাইলেও রাজনীতিবিদরা কেন চান না।

    লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close