• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

সমাজ নিয়েও ভাবতে হবে রাজনীতিবিদদের

প্রকাশ:  ২২ অক্টোবর ২০১৮, ২২:২০
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী

রাজনীতিবিদ একদিনে গড়ে উঠেনা | সমাজের নিভৃত কর্মী একদিন রাজনীতি করতে করতে রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেন | তিনিই সফল রাজনীতির নেতা যিনি সমাজকে নিয়ে ভাবেন আর সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর মাধ্যমে সমাজ সংস্কারকও হয়ে উঠেন | কিন্তু সময় তো বদলেছে, বদলেছে রাজনীতির গতি প্রকৃতি | তারপরও রাজনৈতিক চেতনা আছে বলেই দেশপ্রেম আছে | মানুষ আছে, ইতিহাস আর সভ্যতা আছে | কিন্তু তারপরও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে মানুষ ও তার জীবনধারা। মানুষের এই পরিবর্তন যদি সমাজের জন্য কল্যাণকর হয়, তবে তা সমাজকে অগ্রগতির ক্ষেত্রে প্রভাবিত করে, উন্নত চিন্তাধারা আর উদার দৃষ্টিভঙ্গি মানুষের মধ্যে তৈরি হয়। মানুষের সঙ্গে সঙ্গে সমাজ বিকশিত হয় আর গড়ে ওঠে পরিশীলিত, সহনশীল ও মানবিক সভ্যতা। তবে এই পরিবর্তন যদি নেতিবাচক হয়, তবে সমাজ পশ্চাদমুখিতার দিকে ধাবিত হয়। মানুষের চিন্তাধারায় রক্ষণশীলতা প্রসারিত হয় আর এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক সংকীর্ণতা মানুষের ব্যক্তিত্বকে গ্রাস করে। ফলে সমাজ উল্টো পথে যাত্রা শুরু করে আর বিপন্ন হয় সমাজব্যবস্থা। ভারতবর্ষের কুসংস্কার দূর করার ব্রত নিয়ে সমাজ সংস্কারক হিসেবে আবির্ভূত হন বাংলার মনীষী রাজা রামমোহন রায়।

বহু বিবাহ এবং নির্মম ‘সতীদাহ’ কু-প্রথার বিরুদ্ধে তিনি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি বহুবিবাহ প্রথার তীব্র নিন্দা এবং বিরোধিতা করেন। একই সঙ্গে তিনি তার পুত্রদের ওপর শর্ত আরোপ করেন যে, স্ত্রী বেঁচে থাকতে যদি কেউ দ্বিতীয় বিয়ে করে তাহলে সে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবে। উনিশ শতকের সমাজ সংস্কারক হিসেবে নেতৃত্ব দেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, যার প্রকৃত নাম ছিল ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে তার অসামান্য কৃতিত্বের জন্য তিনি ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ করেন। তিনি নিজস্ব বিবেচনাশক্তি ও সমাজকে উপলব্ধি করার উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ১৮৫০ সালের আগস্ট মাসে মদনমোহন তর্কালঙ্কারের সহায়তায় ‘বাল্যবিবাহের দোষ’ নামে একটি বাংলা প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। সমাজ সংস্কার আন্দোলনের লক্ষ্যকে এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে তিনি গড়ে তোলেন ‘সব শুভকরী সভা’। বিদ্যাসাগর নিজ পুত্রের সঙ্গে এক বিধবা কন্যার বিয়ে দিয়ে বিধবা বিবাহ আইন প্রচলনের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বহুবিবাহ প্রথার বিরুদ্ধেও সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি সমাজসংস্কারক হিসেবে কুসংস্কার, গোঁড়ামি আর ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে আপসহীনভাবে লড়াই করে গেছেন। বাঙালি জাতি বিদ্যাসাগরের মাধ্যমেই সর্বপ্রথম বড় হওয়ার, যোগ্য হওয়ার, মানবিক হওয়ার, আধুনিক প্রগতিশীল ও বিশ্বজনীন হওয়ার প্রেরণা খুঁজে পেয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার সম্বন্ধে বলেছিলেন, তিনি হিন্দু ছিলেন না, বাঙালি বা ব্রাহ্মণ ছিলেন না, ছিলেন ‘মানুষ’। এই বিষয়টি রবীন্দ্রনাথের গভীর চিন্তাবোধ থেকে এসেছিল। কারণ মানুষ হিসেবে জন্ম নিলেই সমাজে প্রকৃত ‘মানুষ’ হওয়া খুব কঠিন। কঠোর দারিদ্র্যের মধ্যেও যে মানুষ তার উন্নত মানসিকতা গড়ে তুলতে পারে, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তা প্রমাণ করেছিলেন। পরিবার যে প্রকৃত সমাজ গঠনের ক্ষেত্র হতে পারে তা ঈশ্বরচন্দ্রের পরিবার ও তার দর্শন থেকে বোঝা যায়। একইভাবে বেগম রোকেয়া নারীশিক্ষার ক্ষেত্রে সমাজসংস্কারক হিসেবে কাজ করে গেছেন। এই সমাজ সংস্কারকদের প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে সমাজকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

    ফলে সামাজিক কাজকর্ম করলেই সমাজসংস্কারক হওয়া যায় না। এর জন্য আবহমানকাল ধরে চলে আসা কু-প্রথার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়। কোনো একটি প্রথা সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলছে, কিন্তু সমাজ যদি সে প্রথাকে সমাজের অংশ হিসেবে গ্রহণ করে থাকে ও তা পালন করে তবে এর যে কোনো ধরনের পরিবর্তন মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। যারা এই প্রতিক্রিয়াকে অতিক্রম করে সমাজে কু-প্রথা ও কুসংস্কারকে বিলুপ্ত করার প্রয়াস গ্রহণ করে ও তাতে সফল হয় তারাই প্রকৃত সমাজসংস্কারক। সমাজসংস্কারের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় ভাবা যেতে পারে, সেগুলো হল- পরিবারভিত্তিক সমাজ, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ, প্রযুক্তিভিত্তিক সমাজ, অর্থনীতিভিত্তিক সমাজ, উদারধর্মভিত্তিক সমাজ, সামাজিক মূল্যবোধভিত্তিক সমাজ, দেশপ্রেমভিত্তিক সমাজ, সংস্কৃতিভিত্তিক সমাজ, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধভিত্তিক সমাজ। তবে সমাজের সঙ্গে রাজনীতির বিষয়টি কোনো না কোনোভাবে যুক্ত থাকে। এই রাজনীতির বিষয়টি যদি উদার ও উন্নত চিন্তাধারার ওপর গড়ে না ওঠে তবে সমাজ বিপন্ন হয়।

    মাতৃভাষা আন্দোলন সামাজিক থেকে রাজনৈতিক রূপ লাভ করেছিল। ফলে রাজনীতি ও সমাজ একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে কাজ করেছে। বিখ্যাত দার্শনিক জন রলস তার থিওরি অব জাস্টিস গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, উদার গণতন্ত্র কেবল শক্তিশালী নাগরিক সমাজের মধ্য দিয়েই ভিত্তি লাভ করে। তিনি নাগরিক সমাজকে রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও কাঠামোর বাইরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। পাশ্চাত্যের সমাজব্যবস্থা বস্তুবাদী ও ভোগবাদী চিন্তাধারার ওপর গড়ে উঠেছে। ফলে রাষ্ট্র উন্নত হলেও মানুষের সামাজিক জীবন প্রসারিত হতে পারেনি।

    এক সময় বাংলাদেশে একান্নবর্তী পরিবারের ধারণা থাকলেও বর্তমানে একক বা অণু পরিবারের ধারণার ব্যাপ্তি ঘটছে। ফলে মানুষের মধ্যে এক ধরনের স্বার্থপরতা ও অর্থের প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে। দায়িত্ব ও কর্তব্যের বিষয়টি গৌণ হয়ে সামগ্রিক স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। ফলে সমাজে এক ধরনের অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হওয়ায় মানুষ দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে পড়ছে। আবার পরিবার যে সমাজের দর্পণ সেই ধারণা থেকে মানুষ বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছে। ফলে মাদকের নেশা, জঙ্গিবাদ ও সমাজিক অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। কাজেই পরিবারভিত্তিক পারস্পরিক বন্ধনকে শক্তিশালী করে সমাজ ও রাষ্ট্রকে সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন। ইসরাইলি সমাজে জ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর সৃজনশীল সমাজব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। ফলে সেখানে বিজ্ঞানমনস্ক ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতাসম্পন্ন সমাজব্যবস্থার ধারণা বিস্তার লাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গুণগত শিক্ষার জন্য তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। এজন্য বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক বিষয় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে প্রযুক্তিজ্ঞানসমৃদ্ধ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে শিক্ষা খাতে একটি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করছে। তবে দেশে এ বিষয়ে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও জ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর সৃজনশীল সমাজ গঠনের জন্য যে মহাপরিকল্পনার বাস্তব রূপরেখা ও তার বাস্তবায়ন প্রয়োজন ছিল তার সমন্বয় করা সম্ভব হয়নি। ফলে মানুষের মধ্যে জ্ঞান ও প্রযুক্তি চিন্তা প্রবেশ করলেও তা সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হতে পারেনি। এতে করে বিজ্ঞানভিত্তিক বাস্তবতার চেয়ে মানুষের কাছে যুক্তিহীন ও কাল্পনিক সমাজব্যবস্থার ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে কল্পনা যখন বাস্তবে পরিণত হচ্ছে না, তখন মানুষের মধ্যে এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে যা সমাজকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করছে। শিক্ষা ও সংস্কৃতি একে অন্যের পরিপূরক।

    সমাজে সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে উদার দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তাধারা বিকশিত হয়। সংস্কৃতির এই প্রভাব শিক্ষাকে প্রভাবিত করে চিন্তাশীল সমাজ গঠনে সাহায্য করে। সংস্কৃতির সঙ্গে আরেকটি বিষয় সম্পর্কিত, সেটি হল একটি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্য। এই বিষয়গুলো যদি মানুষ ও তার পরিবারের মধ্যে বিস্তার লাভ করে তবে এর মাধ্যমে উদার মানসিকতাবোধসম্পন্ন সমাজ তৈরি হয়। আর এই ধরনের সমাজ উদার রাষ্ট্র গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। এখানে উদার ধর্মভিত্তিক সমাজের ধারণাটি গুরুত্বপূর্ণ। আর এটি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি থেকে গড়ে ওঠে। সেখানে মানুষের মধ্যে রক্ষণশীলতা জন্ম নিতে পারে না। আর এর সঙ্গে সমাজ ও রাষ্ট্রের মধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বলয় গড়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধু ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে লিখেছেন, ‘ধর্মপ্রাণ বাঙালি মুসলমানরা তাদের ধর্মকে ভালোবাসে; কিন্তু ধর্মের নামে ধোঁকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধি করতে তারা দেবে না এ ধারণা অনেকেরই হয়েছিল। জনসাধারণ চায় শোষণহীন সমাজ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি। আওয়ামী লীগ ও তার কর্মীরা যে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতাকে ঘৃণা করে। আওয়ামী লীগের মধ্যে অনেক নেতা ও কর্মী আছেন যারা সমাজতন্ত্র বিশ্বাস করে এবং তারা জানে সমাজতন্ত্রের পথই একমাত্র জনগণের মুক্তির পথ। ধনতন্ত্রবাদের মাধ্যমে জনগণকে শোষণ করা চলে। যারা সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তারা কোনোদিন কোনো রকমের সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করতে পারে না। তাদের কাছে মুসলমান, হিন্দু, বাঙালি, অবাঙালি সবাই সমান’।

    আবার কর্মমুখী সমাজব্যবস্থা অর্থনৈতিক সমাজব্যবস্থার ধারণাকে ত্বরান্বিত করে। মানুষের জীবিকার জন্য কেবলমাত্র সরকারি বা বেসরকারি চাকরি যে গুরুত্বপূর্ণ নয়, অর্থনৈতিক সমাজব্যবস্থার ধারণাকে বাস্তবায়ন করে এর প্রতিফলন ঘটানো সম্ভব। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা থেকে শিল্পোদ্যোক্তা তৈরির যে ধারণা থাকা দরকার তা গড়ে তোলার তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা নিজেকে যেমন কর্মে নিয়োজিত করতে পারে, তেমনি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। ফলে অর্থনৈতিক সমাজব্যবস্থার ধারণা সমাজের মধ্যে তৈরি করা দরকার। সমাজে বিভিন্ন মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে তোলার প্রধান উপায় হচ্ছে দেশপ্রেমভিত্তিক সমাজব্যবস্থার ধারণাকে প্রসারিত করা। মানুষের মধ্যে যদি দেশপ্রেম জাগ্রত করা যায় তবে উন্নত সমাজ গঠনের অন্যান্য উপাদানগুলো কাজ করতে শুরু করে। দেশপ্রেম মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও আত্মশক্তি তৈরিতে সাহায্য করে। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সংস্কৃতির যোগসূত্র থাকার কারণে তার মধ্যে সমাজ সম্পর্কে এক ধরনের রাজনৈতিক দর্শন কাজ করেছিল।

    ফলে তার রাজনৈতিক দর্শনের প্রধান দিকটি ছিল ‘স্বদেশী সমাজ’। যা দেশপ্রেমরই আরেকটি প্রকাশ। সামাজভিত্তিক এই ধারণা থেকে রাজনৈতিক সংকীর্ণ পরিসর পাল্টে দিতে আগ্রহী রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন, সামাজিক ব্যবস্থায় দেশবাসীকে গঠনমূলক কর্মোদ্যম ও দায়দায়িত্বের মধ্য দিয়ে স্বাদেশিকতার ধর্ম পালন করতে হবে। আর এর মাধ্যমেই রাষ্ট্রকে উন্নত করা সম্ভব। তাই রাজনীতিতে রাজনীতিবিদদের চেয়ে যদি সমাজ সংস্কারকদের ভূমিকাকে প্রাধান্য দেয়া হয়, তবে রাজনীতির মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র উপকৃত হবে। প্রকৃত সমাজসংস্কারক বর্তমানে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রয়োজনে সমাজসংস্কারক গড়ে তোলার মতো পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন। আর এর মাধ্যমেই উন্নত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন সম্ভব।

    লেখকঃ শিক্ষাবিদ, কলামিস্ট, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ।

    অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close