• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

গণতন্ত্র কাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে: এম এ আউয়াল

প্রকাশ:  ০৫ জানুয়ারি ২০১৮, ১৪:৫৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব এম এ আউয়াল এমপি বলেছেন, ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্ররক্ষা দিবস। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এই দিনটি বিশেষভাবে চিহ্নিত হবে। পাশাপাশি নতুন বছরে গণতন্ত্রের কাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত করতে হবে আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই গণতন্ত্রের নবতর উজ্জীবন হবে।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কলাবাগানে মহাসচিবের কার্যালয়ে আয়োজিত ‘৫ জানুয়ারি গণতন্ত্ররক্ষা দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় এম এ আউয়াল এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সম্পর্কিত খবর

    তিনি বলেন, চলতি বছরের শেষ দিকে জাতীয় নির্বাচন। আগামী নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দলকে ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রের কাঠামোগত উন্নয়ন ও দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে রক্ষা করতে হবে।

    বিএনপি ও জামায়াতের সমালোচনা করে এম এ আউয়াল বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি নির্বাচনের ট্রেন মিস করেছে। এরপর বছরগুলোয় দিনে-দিনে স্পষ্ট হয়েছে, তাদের বয়কট দেশে-বিদেশে এবং দলের অভ্যন্তরেও আফসোসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগুনসন্ত্রাসের মাধ্যমে বাঁধা দিলেও নির্বাচন থামিয়ে রাখতে পারেনি বিএনপিসহ তাদের জোটসঙ্গীরা।

    এম আউয়াল মনে করেন, নির্বাচনে বাঁধা দিয়েও গণতন্ত্ররক্ষার ধারাবাহিকতা ধ্বংস করতে পারেনি, উল্টো দলটি নিজে থেকেই ধ্বংসের পথ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনে সংসদ কার্যকর করতে নির্বাচনের কোনও বিকল্প নেই। এবং সে নির্বাচন সাংবিধানিক নিয়ম মেনেই অনুষ্ঠিত হবে।

    বিএনপিকে জামায়াতসঙ্গ ত্যাগ করার আহ্বান জানান এম এ আউয়াল এমপি। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীদের দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করার জন্য অবশ্যই এই দলটিকে ক্ষমা চাইতে হবে।

    জামায়াতের গঠনতন্ত্রে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে সংযোজন সম্পর্কে এম এ আউয়াল বলেন, নীরবে মুক্তিযুদ্ধ সংযোজন নয়, প্রকাশ্যে দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। চিহ্নিত রাজাকারদের দল থেকে বাদ দিতে হবে। নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত হয়েই কেবল এই দেশে রাজনীতি করা সম্ভব হবে জামায়াতের জন্য।

    আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে এম এ আউয়াল বলেন, ২০০৮ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীদের বিচারের যে অঙ্গিকার করে ক্ষমতায় আসা হয়েছে, দিনে-দিনে তা প্রমাণিত হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গিকার রক্ষা করেন। তবে বিগত ২০১৭ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমে গতি ছিল না। যা গণমাধ্যমেও এসেছে।

    নতুন বছরে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমে গতি আনতে আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান এম এ আউয়াল। না হলে সতর্ক করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এক পায়ে দাঁড়িয়েছে। এই ট্রাইব্যুনালের কাজে গতি আনতে হবে। অসমাপ্ত কাজগুলো দ্রুত গতিতে সারতে হবে।

    আলোচনা সভায় তরিকত ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের নেতারা অংশ নেন।

    /আরআর/কেকে

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close