• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

কুড়িগ্রামে আ.লীগ ও জাপা সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ২০

প্রকাশ:  ২১ জুলাই ২০১৮, ১৯:৪১ | আপডেট : ২১ জুলাই ২০১৮, ১৯:৪৫
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র আওয়ামীলীগ ও জাপা প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া, পাজাড়ো গাড়ি, মোটর সাইকেল ও জাপা অফিস ভাংচুরসহ উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।

খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম থেকে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনলেও এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

ঘটনাটি ঘটেছে, গত শুক্রবার (২০ জুলাই) উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের সাদুল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে এবং এ ঘটনাকে কেন্দ্র রাতে উপজেলার সদরে জাপা অফিস ভাংচুর করা হয়।

জানা গেছে, উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের সাদুল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে জাপা প্রার্র্থী অধ্যাপক ডা. আক্কাছ আলীর পক্ষে জাপা নেতা মাহমুদুর রহমান বকুলের সভাপতিত্বে কয়েকটি ইউনিয়নের নির্বাচনী এজেন্টদের নিয়ে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা চলছিল।

অপরদিকে আওয়ামীলীগ প্রার্থী অধ্যাপক এম.এ মতিনের পক্ষে নৌকা প্রতীকের একটি মোটর সাইকেল র‌্যালী পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় উভয় পক্ষের উস্কানি মূলক স্লোগানকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে উভয় পক্ষের ৫জন আহত ও প্রায় ২০টি মোটরসহ কয়েকটি চেয়ার টেবিল ভাংচুর করা হয়। আহতরা হলেন ধামশ্রেনী ইউনিয়ন জাপার নেতা আব্দুর রশিদ (৫০), জাহাঙ্গীর মুন্সি (৩৮) এবং তবকপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি এনামুল হক জিন্নাহ্ (৫০), যুবলীগ নেতা বিপুল মিয়া (৩৭)। এদের মধ্যে ২জনকে উলিপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামীলীগ ও জাপার কর্মী সমর্থকদের মাঝে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।

নির্বাচনী প্রচারনা চলা কালে সন্ধার দিকে পৌর শহরের গুনাইগাছ মোড়ে জাপা প্রার্থী অধ্যাপক ডা. আক্কাছ আলী সরকারের গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উলিপুর এমএস স্কুল এন্ড কলেজের সামনে জাপা নেতা কর্মীরা শেখ রাসেল শিশু কিশোর সংগঠনের নেতা প্রতীক (২৪) ও কৌশিক (২৬) কে মারধর করেন। পরে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা সংগঠিত হয়ে রাত ১১টার দিকে উপজেলা জাপা কার্যালয়ে হামলা চালায়। তাতে পৌর জাপার সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম (৬০), আব্দুল হাই (৪৮)সহ ৬/৭জন আহত হন। এ ছাড়া জাপা কার্যালয়ের সামনে থাকা প্রার্থী অধ্যাপক আক্কাছ আলী সরকারের পাজারো গাড়ী ও কর্মীদের মোটর সাইকেল এবং অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম থেকে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে লাঠিচার্জ করলে ছাত্রলীগ নেতা জুলফিকার আলী জয় (২৫) সহ বেশ ৫/৬ জন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত জুলফিকার আলী জয়কে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।

উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন সংঘর্ষের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। তারপরও আমরা খোজখবর রাখছি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।

সহকারী রিটানিং অফিসার জাহাঙ্গীর আলম রাকিব জানান, শুক্রবারের নির্বাচনি সহিংসতার ঘটনায় শনিবার (২১ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্দোগে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে বৈঠক হয়েছে। সেখানে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘঠে সেই জন্য কঠোর হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে। এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য কমিশন বিব্রত । আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে তৎপর রয়েছে। যে কোন ঘটনা তাৎক্ষনিক ভাবে মোকাবেলার জন্য কমিশন প্রস্তুত রয়েছে। উদ্বৃদ্ধ ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি মোবাইল টিম কাজ করছে।

কুড়িগ্রাম,আওয়ামীলীগ,জাপা,সংঘর্ষ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close