• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

রাজপথে লড়াই ছাড়া কোনো বিকল্প নেই: নজরুল

প্রকাশ:  ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে লড়াই ছাড়া আমাদের সামনে বিকল্প কোনো পথ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, বর্তমানে সংকটের সমাধান না করেই নির্বাচন কমিশন একতরফাভাবে আবারও একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছে যা সরকারের ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটছে।

শুক্রবার (৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত দল “জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)’র বিশেষ কাউন্সিলের ডাক” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন। এসময় মাওলানা ভাষানীর ‘খামোশ’ উক্তি উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, আমাদের দেশে বর্তমানে খামোশ বলার মত ঐ রকম নেতা আর নেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, বাংলাদেশ এখন অস্বাভাবিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যে গণতন্ত্র, সুশাসন ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠার স্বপ্নে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেই স্বপ্ন বারবার ধূলিসাৎ করা হয়েছে। বারবার ক্ষমতাসীনেরা ও তাদের প্রধান সহযোগী জাতীয় পার্টি গণতন্ত্র হরণ করেছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সেই গণতন্ত্র লড়াইয়ের আন্দোলনে নেমেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানই প্রথম গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

তিনি বলেন, তারা বলে সংবিধানের বাইরে চলা যাবে না। সংসদ বিলুপ্ত করে তফসিল ঘোষণা করার কথা সংবিধানেই বলা আছে। সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনে আসেন। এটা সংবিধানের বাইরের কিছু না। ইভিএমের কথা সংবিধানের কোথায় লেখা আছে? সেনাবাহিনী নিয়োগে সংবিধানের কোথায় বাধা দেয়া হয়েছে? এই গণতন্ত্রহীনতার যে সংস্কৃতি তা অতিক্রম করতে রাজপথে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পর পরই একটি দলের পোস্টারে পথ-ঘাট, অলি-গলি ছেয়ে গেছে। এমনকি অফিস আদালতেও পোস্টা লাগিয়ে ভোট প্রার্থনা করা হচ্ছে। অথচ যা নিবার্চনী আচেরণ বিধির পরিপন্থি। কিন্তু নিবার্চন কমিশন তা দেখছে না। নিবার্চন কমশিনের কর্মকর্তারা মনে হয় আলাদা সুরঙ্গ পথ দিয়ে চলাচল করে। তাদের চোখে এসব পোস্টার চোখে পড়ে না।

তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রীর জনপ্রিয়তার কারণে জামিনযোগ্য মামলায় তাকে আটকে রাখা হচ্ছে। হাইকোর্ট জামিন দিলেও সরকারের নির্দেশে নিম্ন আদালতে জামিন আটকে যায়। সরকার খালেদা জিয়া ভীতিতে ভুগছে বলে অভিযোগ করেন।

২০ দলের এ সম্বয়ক বলেন, সরকার সংবিধান ও জনগণকে ভয় পায়। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন সম্ভব, সেটিও তারা করতে চায় না। কারণ সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে সরকারের এমপিরা নিজ নিজ এলাকায় যেতে পারবেন না।

আ’লীগ পদোন্নতি দিয়ে সরকারী কর্মকর্তাদের খুশি করার চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করে তিনি বলেন, আ.লীগের নেতাকর্মীরা গ্রাম-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায় ১০ বছর ধরে যে অন্যায়- অত্যাচার করছে। তাদের অপকর্মের জন্য জনগণ প্রতিরোধ করবে। তারা পরাজিত হবেন। এ কারণেই তারা সংসদ না ভেঙে নির্বাচনের কথা ভাবছেন।

জাগপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ২০ দলীয় নেতা মোস্তফা জামান হায়দার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান। সভায় রাশেদ প্রধানকে জাগপার সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

/অ-ভি

বিএনপি,স্থায়ী কমিটি,সদস্য,নজরুল ইসলাম খান,নির্বাচন,লড়াই,রাজপথ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close