‘নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় হেলমেট বাহিনী তৎপর ছিল’
নির্বাচন কমিশনের অসতর্কতায় নয়াপল্টনে গতকাল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, অসমর্থিত কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য খবরে প্রকাশ যে, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হেলমেট পরে ওই যে কোটা ও নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের সময়ে হেলমেট বাহিনীকে দেখেছিলাম, সেই হেলমেট বাহিনী সেখানে তৎপর ছিল।
বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে মতিঝিলে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।এতে সভাপতিত্ব করেন ফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেন।
সম্পর্কিত খবর
গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সমনে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, পুলিশের দু’টি গাড়ি ভাঙা এবং ওইখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা তার পেছনে সরকারি দলের লোকজনের হাত আছে।
তিনি বলেন,আজকে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমাদের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আমরা সকলে একটি কমন প্রতীকে নির্বাচন করব। সেই কমন প্রতীক হবে ধানের শীষ।
নয়াপল্টনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়ে ঐক্যফ্রন্টের এ নেতা বলেন, আমরা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, সরকার যেকোনোভাবে বিরোধী দল যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে তার জন্য সব রকমের উস্কানি দিচ্ছে। আমরা এই উস্কানি প্রতিরোধ করব।
তিনি বলেন, আমরা ধৈর্য্য ধরব। আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, সব ধরনের বাধা উপেক্ষা করে আমরা নির্বাচন করব। মানুষের মধ্যে যে সাড়া দেখতে পাচ্ছি তাতে আমাদের বিশ্বাস, এই নির্বাচনে একটা ভোট বিপ্লব হবে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের মধ্যে আসন বণ্টন হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মান্না বলেন, হয়নি। তবে আমরা একটা যাত্রা শুরু করেছি। আমাদের সবার মার্কা হবে ধানের শীষ।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন- তার চিন্তা সরকারি দলের না করলেও চলবে।
/অ-ভি