মওদুদ সাহেবরা মাস্তানি করেছেন, আমরা প্রতিশোধ নেইনি: কাদের
নোয়াখালি-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৯৯৬ সালে মওদুদ সাহেবরা সকাল ১০টায় ভোটকেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করেছিলেন। আমাকে এলাকা ছাড়া করেছিলেন। আমার পুকুরের মাছ ধরে নিয়েছিলেন, গাছ কেটে শেষ করেছিলেন তারা। কিন্তু আমি বিজয়ী হয়ে প্রতিশোধ নিইনি। জয়ী হয়ে মওদুদ সাহেবের বাসায় গিয়েছিলাম। মওদুদ সাহেবরা মাস্তানি করেছেন, আমরা কিন্তু প্রতিশোধ নেইনি।
সোমবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটে গণসংযোগ ও নির্বাচনী পথ সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
পথসভায় ওবায়দুল কাদের তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের উদ্দেশ্যে বলেন, তিনি ২২ বছরে যে উন্নয়ন করেনি। আমি ১০ বছরে তার চেয়ে বেশি উন্নয়ন করেছি। মওদুদ সাহেব সকাল ১০টায় ভোট শেষ করে গণতন্ত্র হত্যা করে এখন আবার গণতন্ত্রের কথা বলেন। তারা মিথ্যাবাদি ভুয়া।
মন্ত্রী বলেন, মওদুদ আহমদের ৫ বছরের ক্ষমতার সময় আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী মা-বাবার জানাযা পড়তে পারেনি, মামলা হামলাসহ নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কিন্তু গত ১০ বছরে প্রতিশোধ নিইনি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখেছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জন্মনিবন্ধনে বাবার নামের পাশাপাশি মায়েদের নাম যুক্ত করে তাদের সম্মানের অধিকারি করেছেন। তরুণরা ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ভোগ করেছে।
সারা বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার অবদানে ১৪ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। তাই উন্নয়ন ও শান্তি অব্যহত রাখতে নৌকায় ভোট চেয়ে বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনে তরুণ ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতীক এবং অর্ধেক নারী জনগোষ্ঠীই হবে আওয়ামীলীগের বিজয়ের প্রধান হাতিয়ার।
এর আগে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত হাজার হাজার নেতাকর্মী বসুরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নির্বাচনী মিছিল সহকারে বসুরহাট বাজার প্রদক্ষিণ করে। এসময় নেতাকর্মীদেরকে নৌকা প্রতীক ও রঙ-বেরঙের তোরণ নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানিগঞ্চ উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, পৌর মেয়র মীজা কাদের সহ আওয়ামীলী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
পিবিডি/আরিফ