হামলা-আক্রমণ-গ্রেফতারের জন্য দায়ী সিইসি: রিজভী
সিইসির ইঙ্গিতে অথবা প্রশ্রয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে হামলা, আক্রমণ, গ্রেফতার করা হয়েছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এসবের জন্য সিইসির দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। তফসিল ঘোষণার পর যেহেতু নির্বাচনী সব কার্যক্রম কমিশনের উপর চলে আসে সেহেতু সিইসি-ই এর জন্য দায়ী। তার পেছনে কলকাঠি নাড়ছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সম্পর্কিত খবর
রিজভী বলেন, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনেই বিএনপি প্রার্থীর সমর্থক ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতেই এই হামলাগুলো সংঘটিত হয়। সব আসনেই বিএনপি প্রার্থীর পোস্টার লাগাতে বাধা দেওয়া হয়েছে, পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। প্রায় সব প্রচারণায় মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে, ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ৩০০ আসনেই গণগ্রেফতার চলছে।
তিনি বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে এখন পর্যন্ত বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের দেড়শ’ প্রার্থীর উপর আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা হয়েছে। দু’জন প্রার্থীকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে আইনি জটিলতা সৃষ্টি করে প্রার্থী হওয়া অনিশ্চিত করে রাখা হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামালসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের উপর হামলা হয়েছে। হামলার পর গতকাল (শুক্রবার-১৪ ডিসেম্বর) বর্ষীয়াণ জননেতা ড. কামাল হোসেনের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলা দায়েরের মাধ্যমে সরকার যে বার্তাটি দিলো তা নিন্মরুচির।
রিজভী বলেন, এরইমধ্যে এসব অনাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে। সহিংসতার বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধ সংগঠিত হচ্ছে। যেখানেই গ্রেফতার ও হামলা সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন সব শৃঙ্খলা ভেঙ্গে জনগণ ভোট দিতে এগিয়ে যাবে। পরাজিত হবে অগণতান্ত্রিক শক্তি। ধ্বংস হবে একদলীয় দুঃশাসনের কারাগার।
পিবিডি/এসএম