• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

আহ হা-অবশেষে ‘রাষ্ট্রপতির’ পদটিও বিতর্কিত হয়ে গেল

প্রকাশ:  ১৫ অক্টোবর ২০১৭, ২২:০৬
মো:মাহবুবুল বাসেত

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের একটি অপ্রত্যাশিত নজিরবিহীন বিবৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সব্বোচ্চ সাংবিধানিক ” রাষ্ট্রপতির “ পদটিও শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত হয়ে গেল এবং এ সব কে কার স্বার্থে করছে তাও দৃশ্যমান ও বোধগম্য নয়।

প্রধানমন্ত্রী ,মন্ত্রী ওে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি এবং তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পীকার । শপথের আলোকে রাষ্ট্রপতি আইন অনুযায়ী বিশ্বস্ততার সাথে কত্যর্ব পালন , সংবিধানের রক্ষন,সমর্থ করবেন এবং কারো প্রতি অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হয়ে সকলের প্রতি আইন অনুযাযী আচরন করবেন-এটাই সবার প্রত্যাশা ।

সম্পর্কিত খবর

    রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাষ্ট্র ও সরকারের প্রয়োজনে বিদ্যমান “ রুলস অফ বিজনেস ” অনুযায়ী কিছু কিছূ গোপন তথ্য বা বিষয়- দৈনন্দিন,পাক্ষিক ও মাসিক ভিত্তিতে-বিভিন্ন সংস্হাকে উপসাহাপন করতে হয়-নির্দেশ অনুযায়ী বা রুটিন মাফিক । রাষ্ট্রপতি হয়তো এ সব সুত্র থেকেই বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে কিছু বিরুপ তথ্য পেয়েছেন এবং হয়তো তার কাছে সেগুলো সঠিক বলে প্রতীয়মানও হয়েছে । বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রাপ্ত এ সব তথ্য - বিচার প্রত্রিুয়ায় প্রমানের একমাত্র বর্তমান মাধ্যম হচ্ছে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে আপীল বিভাগের পরবতী সিনিয়র তিন বিচারপতিকে দিয়ে ” সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল “ গঠন করা “ এবং এ সব অভিযোগ প্রমানীত হলে তিন জন বা মেজরিটির মতামতের ভিত্তিতে প্রধান বিচাপতিকে অপসারন করা ।কিন্তু,রাষ্ট্রপতি তা না করে কি করলেন ?

    তিনি যার সম্পর্কে অভিযোগ তাকে অবহিত না করে তার সহকর্মী বা অধস্তন অন্যাণ্য পাচ বিচারপতিকে ডেকে নিয়ে অভিযোগগুলো তাদেরকে অবহিত করলেন ও হস্থাান্তর করলেন ।পরে তারা এসে ্বআবার বিষয়গুলো বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিকে জানালেন । এই তিন পক্ষের মধ্যে এটা নিয়ে কি কথা-বার্তা হয়েছে তা আবার সুপ্রীম কোর্টের নামে প্রদত্ত বিবৃতির মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম। স্বাভাবিকভাবেকই প্রশ্ন ঊঠবে-এসব যে সত্য ও সঠিক আমরা কি করে বুঝবো ? এ সবতো গোপন থাকার কথা আইনগত প্রক্রিুয়ায় না আসা পর্যন্ত । কারন- ্আইনমন্ত্রী ও এটর্নীজেনারেল ছাড়াও এখানেতো এখন তিনটা পক্ষ-কার কথা সঠিক ?

    এবার দেখা যাক রাষ্টপতি কি শপথ বাক্য পাঠ করেছেন ?

    অনুচ্ছেদ-১৪৮(১)-” আমি........সশ্রদ্ধচিত্তে শপথ (বা দৃঢভাবে ঘোষনা ) করিতেছি যে,আমি আইন অনুযায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদের কর্তব্য বিশ্স্ততার সহিত পালন করিব ।আমি বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষন করিব । আমি সংবিধান রক্ষন,সমর্থন ও এর নিরাপত্তা বিধান করিব এবং আমি ভীতি বা অনুগ্রহ,অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া সকলে প্রতি আইন অনুযায়ী যথাবিহিত আচরন করিব “।

    আমার দৃষ্টিতে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সম্পর্কিত অভিযোগগুলো রাষ্ট্রপতির বিবেচনায় সঠিক প্রতীয়মান হলে আইন বা সংবিধান অনুযায়ী তা প্রমান ও ব্যবস্হা নেয়ার জন্যে রাষ্র্রটপতির কাছে “ সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে প্রেরন ছাড়া “ আর কোন কর্মপন্হা নেই । কিন্তু , তিনি তা না করে পাচ সহকর্মীর বা অধস্তন বিচাপতির কাছে হস্তান্তর করলেন কেন ? তারা কি বিষয়টি গোপন রেখেছেন ? তারা যে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে “ জনসমক্ষে “ গ্রুপিং-এর প্রমান রাখলেন তা কি কারো বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে ? রাষ্ট্রের আর অবশিষ্ট থাকলোটা কি ? রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অভিভাবক । আমি রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে আমার অভিভাকের কাছে এ প্রশ্ন রাখার অধিকার কি রাখিনা-আপনিও শেষ পর্যন্ত এ গ্রুপিংয়ে নিজেকে জড়ালেন ?

    লেখক :সিনিযর সাংবাদিক, সংসদ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ

    (লেখকের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত )

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close