কবি সাহিত্যকরা সকল সৌন্দর্যের আঁধার খুঁজে পান নারীর মধ্যে
সৃষ্টির আদি থেকেই নারীকে প্রকৃতির সাথে তুলনা করেই লেখা হয়েছে সকল প্রেম ভালোবাসার গদ্য, পদ্য সব। প্রকৃতি তার দুই অকৃত্তিম সৃষ্টির মধ্যেই নারী ও পুরুষের যৌন সম্পর্ককে করে দিয়েছে দুটি আলাদা শরীর বা আত্মার মিলনের এক অনন্য মাধ্যম।
তাই কবি সাহিত্যকরা তাদের সকল সৌন্দর্যের আঁধার খুঁজে পান নারীর মধ্যে। সামাজিক বাস্তবতায় নারীরা যদিও সেভাবে নিজের মনের কথাকে প্রকাশ করতে পারে না বা চায় না তাই তারা পুরুষের সৌন্দর্যকে সেভাবে তুলে ধরতে পারে না বা পুরুষের মাঝে সেই সৌন্দর্যকেই পাওয়া যায় না। তবে এর জন্য প্রকৃতির অবদানই বেশী কারণ প্রকৃতির মাঝে সকল সুন্দর মানেই হচ্ছে নারীর মাঝে মুর্ত। নারীর শরীর, নারীর স্তন, যোনী যাই নিয়েই আপনি বর্ননা দেন না কেন সেটার ব্যবহার প্রাসঙ্গিকতার উপর নির্ভর করে এর সৌন্দর্য।
সম্পর্কিত খবর
যৌনতা একটি নান্দনিক বিষয় যদি সেটাকে আপনি উপভোগ্য করে তুলতে পারেন আবার একই জিনিষ পাল্টে গেলে হয়ে যেতে পারে চটি লেখা বা নিন্দার অংশ।
নারীর দেহের সৌন্দর্যের মাঝে প্রকৃতিকে আবিষ্কার করার মত সেই চোখ কারও হয় কাব্যিক যেখানে অশ্লীলতা বা কদর্যতা চোখেই পড়ে না আবার কারও জন্য একই বিষয় গালিগালাজ প্রযোজ্য হয়ে পড়ে। সার্বজনীনতা দিয়ে কোন বিষয়কে তুলনা করা আর ব্যক্তিগত ঈর্ষা বা ক্ষুদ্র মনোবাসনা চরিতার্থ করার চেষ্টায় সেসবের ব্যবহার এক জিনিষ নয়।
কিন্তু সেই দেখার চোখ আর আছে কই? নারীকে বেশীরভাগই একটি সেক্স অবজেক্টেই সীমাবদ্ধ রেখে দিতে পছন্দ করে। নারী যদি হয় চিন্তা করতে সক্ষম, যদি হয় কৌশলী, সহজে পোষ না মানার মত ব্যক্তিত্ব তবেতো আর কথাই নেই। সেসব নারীকে দূর থেকে দেখে মুগ্ধ পুরুষ কাছে এসে বুঝতে পারে সে খুব সহজ কারও কাছে আসে নি। এই নারীকেতো বশ মানানো তার কর্ম নয়। সেতো আমার যেমন খুশী লেখার কবিতার খাতা নয়। চতুর পুরুষেরা নিরবে সরে গিয়ে নিজেকে বাঁচাতে চায়। খোঁজে থাকে একটু কম বুদ্ধিসম্পন্ন কারও যে বিনা প্রশ্নে মেনে নিবে সবকিছু। পুরুষকে দেবতাজ্ঞান করেই দিনের পর দিন তার প্রণতি জানিয়ে যাবে।
আমি অপেক্ষায় থাকি সেই আধুনিক মানুষের যে আমাকে নিয়ে সৃষ্টি করবে জগতের সবচেয়ে সুন্দর প্রেমের কাব্য। জগতের মাঝে প্রেমের ভৈরবী সুর বাজবে কেবলি। তুমি সেই পুরুষ হও হে পুরুষ। নারীকে আয়ত্ত নয়, জয় করতে শিখো।