• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

রসিক নির্বাচনে শেষমুহূর্তে তৎপর বিএনপি

প্রকাশ:  ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৫:১১ | আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:৩৭
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

জমে উঠেছে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে পরিস্থিতি জানান দিচ্ছে। শেষমুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা। তবে প্রচারণায় আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থীদের থেকে পিছিয়ে রয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা। অন্য প্রার্থীরা যখন তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত তখন বিএনপি প্রার্থী কেবল কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। নগরী জুড়ে বিএনপি প্রার্থীর পোস্টার অন্যদের তুলনায় কম।

মাইকিং বা শো-ডাউনও হচ্ছে স্বল্প পরিসরে। তবে শেষ মুহূর্তে এসে অনেকটা তৎপর হয়েছে বিএনপি। এ প্রসঙ্গে মহানগর বিএনপি’র সভাপতি মোজাফ্‌ফর হোসেন বলেন, বিএনপি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে প্রচারণায়। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি’র প্রার্থী বিপুল ভোটে জিতবে। তিনি অভিযোগ করেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে অন্যরা প্রচারণায় মাঠে থাকলেও বিএনপি প্রার্থীকে প্রচারণা চালাতে দেয়নি প্রশাসন। ফলে শুরু থেকেই বিএনপি অন্যদের থেকে পিছিয়ে।

সম্পর্কিত খবর

    দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কাওছার জামান বাবলার প্রার্থিতা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন রংপুর মহানগর বিএনপি’র নেতাকর্মীরা। প্রথমত কেন্দ্র থেকে মনোনয়নের ক্ষেত্রে শেষ মুহূর্তে বাবলার প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হয়। এরপর মনোনয়ন বাছাইয়ের সময় ঋণ খেলাপি বাবলার মনোনয়ন নিয়ে আপত্তি করে সোনালী ব্যাংক। এরপর গত বুধবার বাবলার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয় ওই ব্যাংকের পক্ষ থেকে। গত বৃহস্পতিবার সোনালী ব্যাংকের আপিল খারিজ হয়ে যায়। ফলে গত বৃহস্পতিবার বাবলার প্রার্থিতা নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে যায়। অন্যদিকে জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। যদিও ইসি তার মনোনয়ন ফরম বাতিল করে দেয় এবং পরবর্তীতে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

    অভিযোগ আছে, নাজুর নেতৃত্বে একটি গ্রুপ বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। তবে মহানগর বিএনপি নেতারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে বিএনপি’র নির্বাচন পরিচালনা কমিটিও গঠন করা হয়েছে অনেক দেরিতে। গত সপ্তাহে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এবং বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া বিএনপি’র রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান, জাহাঙ্গীর আলম ও ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল খালেক কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন। তারা সবাই বর্তমানে রংপুরে অবস্থান করছেন। এছাড়া বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বর্তমানে রংপুরে আছেন।

    আগামী ১৭ বা ১৮ নভেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রংপুর সফরে আসবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে অনেকটা চাঙ্গা বিএনপি’র নেতাকর্মীরা। বিএনপি’র স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মামলার কারণে এবং গ্রেপ্তারের ভয়ে তারা দলের প্রার্থীদের পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচারণা চালাতে পারছেন না। তবে কৌশলে তারা প্রচারণা চালাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতি অনেকটা তাদের চাঙ্গা করেছে। বিএনপির এই নিস্ক্রিয় অবস্থার প্রভাব পড়েছে কাউন্সিলর প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও। ৩৩টি ওয়ার্ডের সবগুলোতে প্রার্থী দিতে পারেনি বিএনপি। মাত্র ২০টি ওয়ার্ডে বিএনপি নেতারা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    উল্লেখ্য, গত ৫ই নভেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এই সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪২১। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ১৯৬টি। মোট ভোটকক্ষ ১ হাজার ৭৭৭। জাতীয় পার্টি ৪ নভেম্বর মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে এবং আওয়ামী লীগ সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুকে ১১ই নভেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করে। আর বিএনপি সবশেষে ২১শে নভেম্বর মহানগর কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি কাওসার জামান বাবলাকে মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করে। সূত্র: মানবজমিন

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close