• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

শহীদ বেদীতে জুতা-স্যান্ডেল রেখেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা

প্রকাশ:  ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৬:১৭ | আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:১৪
লালমনিরহাট প্রতিনিধি

নয় মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অগনিত শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়য়ে ১৯৭১ সালে এই দিনে বিজয় লাভ করে বিশ্বে বাংলাদেশ নামক নতুন এক স্বাধীন দেশের জন্ম হয়। আর যাদের রক্তের বিনিময়ে আজ এই বাংলাদেশ পেয়েছি তাদেরকে প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করে সম্মান জানানো হয়।

আর তাদের সম্মান জানাতে গিয়ে যদি কেউ শহীদ বেদীতে জুতা স্যান্ডেল রেখে বা জুতা পায়ে উঠে ফুল দেয় তাহলে শহীদদের সম্মান জানানো নয় তাদেকে অসম্মান-অবমাননা করাই হবে। একটি স্বাধীন দেশের সচেতন নাগরিকরা কি কখনোই এমনটা করতে পারে?

সম্পর্কিত খবর

    শহীদ বেদীতে জুতা স্যান্ডেল রেখে ও জুতা পড়ে শহীদ মিনারে উঠে শহীদদের অবমাননা করার ঘটনা ঘটেছে ১৬ ডিসেম্বর শনিবার সকালে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

    সারাদেশের ন্যায় এখানেও শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের সম্মান জানাতে আসেন, লালমনিরহাট-১(হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনের এমপি মোতাহার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আ”লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন।

    সকাল আটটায় কোরআন তেলোয়াত-গীতা পাঠ, ও জাতীয় সংগীত শেষে শুরু হয় শহীদ মিনাারে ফুল দিয়ে শহীদদের সম্মান জানানো। শহীদ মিনারে ফুল দিতে অনেকেই জুতা- স্যান্ডেল শহীদ বেদীতে খুলে রেখেই উপরে উঠছে। পরে আবার সেখানেই দাড়িয়ে জুতা পড়ছে।

    এরই মধ্যে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে তিনি জুতা পায়েই সেখানে উঠে পড়েন। আর এসব দেখার যেন কেউ নেই। শহীদদের সম্মান জানানোর নামে যে অসম্মান-অবমাননা করা হচ্ছে তা কেউ ভ্রুক্ষেপই করছেন না।

    এদিকে দেখা যায় শহীদ মিনারের পাশেই ফুলের তোরা নিয়ে দাড়িয়ে আছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন ও দলীয় নেতা কর্মীরা। যে যার মত কেউই এসবে নজর দিচ্ছেন না। আর এভাবে কেউ যেন শহীদদের অবমাননা না করে শহীদ মিনারে দায়িত্বরদের দৃষ্টি রাখা দরকার ছিলো বলে মনে করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার।

    এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল জব্বারের সাথে কথা হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জুতা-স্যান্ডেল শহীদ বেদীতে রেখে বা পড়ে ফুল দেয়া শহীদদের অবমাননা করা হয়েছে সম্মান নয়। তবে শহীদ মিনারে যারা দায়িত্বরত আছেন তাদেরকে এ ব্যাপারে স্বজাগ থাকা দরকার ছিলো। কেউ যেন এমন ভাবে শহীদদের অবমাননা করতে না পারে।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষার জন্য আমরা বার বার বলে দেই। তবে এটা একদম ঠিক না। এরপরেও যারা এমনটা করেছে আমাদের অজান্তে, আমাদের চোখে পড়লে আমরা না করে দেই।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close