ট্রেন দুর্ঘটনা রুখে দেওয়া দুই শিশুর দায়িত্ব নিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

রাজশাহী জেলার বাঘায় তেলবাহী একটি ট্রেনকে দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা দুই শিশু সিহাবুর ও শহিদুলের সারা জীবনের পড়াশুনার দ্বায়িত্ব নিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। দুই শিশু হলো ঝিনা গ্রামের সুমন আলীর ছেলে সিহাবুর রহমান (৬) ও শহিদুল ইসলামের ছেলে টিটোন আলী (৭)।

দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমে জানার পর তিনি এ দুই শিশুর প্রশংসা করেন। পাশাপাশি তাদের পড়াশুনার দ্বায়িত্ব নেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন।

সোমবার প্রতিমন্ত্রী তার ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসে লিখেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় আড়ানী রেল লাইনের পাশেই আবাস তাদের। তাদের সারা জীবনের শিক্ষার দায়িত্ব নিয়েছি।

সোমবার সকাল ৯টার দিকে বাঘার আড়ানী স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে ঝিনা রেলগেট এলাকায় ট্রেনটি থামিয়ে দেয় তারা। সেখানে রেললাইন জোড়া দেয়া ফিস প্লেট ভাঙ্গা ছিল।

তারা জানায়, সকালে তারা জমি থেকে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় তারা দেখে রেললাইন ভাঙা। সামনে ট্রেন আসতে দেখে তারা দুজনে রেললাইনের ওপর মাফলার টেনে ধরে। এতে ট্রেনটি থেমে যায়।

আড়ানী স্টেশনের মাস্টার নয়ন আহম্মেদ জানান, তেলবাহী ট্রেনটি খুলনা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিল। ওই দুই শিশুর কারণে ট্রেনটি দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। রেললাইন মেরামতের পর দুই ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ট্রেনটির চালক কেএম মহিউদ্দিন জানান, দুই শিশু মাফলার দিয়ে ট্রেন থামানোর সিগন্যাল দিচ্ছে দেখে তিনি প্রথমে গুরুত্ব দেননি। ভেবেছিলেন- ট্রেন থামাবেন না। কিন্তু অনেক কাছে চলে যাওয়ার পরও ওই দুই শিশু রেললাইন থেকে সরছে না দেখে তিনি ট্রেনটি থামিয়ে দেন। এতেই দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনটি।