ইরান-সৌদি আরব বিরোধের অন্তরালে
আঞ্চলিক প্রভুত্ব নিয়ে বেশ সরগরম মধ্যপ্রাচ্য। যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত অনেক দেশ। ইরান সৌদি আরব এখনো যুদ্ধে না জড়ালেও বাগ্যুদ্ধ জমে ওঠেছে। প্রায়শই সংবাদপত্রে ইরান সৌদি বাহাস লক্ষ করা যায়। অতি সম্প্রতি সৌদি যুবরাজ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনিকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের নতুন হিটলার’ বলে অভিহিত করেছেন। উত্তরে যুবরাজকে ‘আনাড়ি’ বলে গাল দিয়েছে ইরান।
চিরকালীন শিয়া-সুন্নি বিতর্ক এখন রাষ্ট্রিক পর্যায়ে প্রসারিত হয়েছে। সৌদি আরব ‘খাদেমুল হারেমাইনে শারেফাইন’ অর্থাত্ পবিত্র নগরীদ্বয়ের খাদেম হওয়ার কারণে গোটা সুন্নি মুসলিম বিশ্বে তাদের রয়েছে অবারিত আনুগত্য। অপরদিকে ইরান কঠিন ও কট্টর শিয়া ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করায় তাদের আধিপত্যের মাত্রাও নগণ্য নয়। পৃথিবীর যেখানেই সুন্নি মুসলিম রয়েছে তারা সুন্নি জগতের নেতা সৌদি আরবকে তাদের অভিভাবক মনে করে। অপরদিকে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে শিয়া মুসলিম রয়েছে তারা স্বভাবতই ইরানকে তাদের ইমাম মনে করে। উল্লেখ্য যে, শিয়া ধর্ম বিশ্বাসে নেতা হিসাবে ‘ইমাম’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ। ইমামের প্রতি প্রতিটি শিয়ার থাকতে হবে প্রশ্নহীন আনুগত্য। যে কারণে প্রবল শক্তিধর শাহানশাহ্ রেজা শাহ্ পাহলভীর বিরুদ্ধে ইমাম খামেনির গণআন্দোলন সফল হতে পেরেছিল। ইতিহাসের অনেক পরম্পরা পেরিয়ে এখন ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী শিয়া মতবাদের প্রায় ইমাম মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত। সৌদি আরব তাদের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ক্রমশ বিকশিত হয়ে এখন মর্যাদার শীর্ষে আরোহণ করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানগত কারণেই তারা বিশেষ সম্মান ও মর্যাদা ভোগ করে আসছিল।
সম্পর্কিত খবর
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরবর্তীকাল থেকে বাদশাহ্ ফয়সালের রাজত্বকাল পর্যন্ত ইসলামের অভিভাবক হিসেবে সৌদি আরবের ভূমিকা দৃশ্যমান ছিল। ১৯৭৯ সালে ইরানে সফল ইসলামি বিপ্লবের পর সৌদি পররাষ্ট্র নীতিতে ইরানবিরোধী ভূমিকা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। ইরান মুসলিম বিশ্বের সর্বত্র ইসলামি বিপ্লব ‘রপ্তানি’ করায় সৌদি নেতৃত্ব বিপদের আশঙ্কা করে। অবশেষে ‘আরব বসন্ত’-এর মধ্য দিয়ে সেই আশঙ্কা বাস্তবতা লাভ করে। মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশে আরব বসন্ত প্রবল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করলেও সৌদি আরবের লৌহপ্রাচীর অতিক্রম করতে পারেনি সে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা। ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি গ্রহণ করলে সৌদি রাজতন্ত্রের বুক কাঁপা শুরু হয়। ইরান যতই শক্তিশালী হতে থাকে ততই সৌদিরা মার্কিন ছত্রছায়া লাভ করে।
মাঝখানে বারাক ওবামার সময়কালে সৌদিরা আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়ে। দীর্ঘ সময়, শ্রম এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে অবশেষে ইরান পারমাণবিক প্রশ্নে পাশ্চাত্যের সাথে একটি সমঝোতায় পৌঁছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে সৌদিরা আত্মতুষ্টি লাভ করে। বর্তমান যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান ট্রাম্পের জামাতার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকার কারণে নতুন মার্কিন নেতৃত্বের সঙ্গে সখ্য স্থাপনে সক্ষম হন। একটি জায়গায় মার্কিন-সৌদি সমীকরণ একাট্টা হয়ে ওঠে— আর তা হলো ইরানবিরোধী মনোভাব। নির্বাচনের প্রাক্কালে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত পারমাণবিক চুক্তি বাতিলের হুমকি দেন। এতে সৌদি আরব তাকে নিয়ে আশ্বস্ত হওয়ার সূত্র পায়। বর্তমান মার্কিন-সৌদি সম্পর্কের উষ্ণতা সম্পর্কে সকলেই অবহিত।
মার্কিন শক্তি-মদ-মত্ততায় প্রভাবিত হয়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান ঘরেবাইরে প্রবল শক্তিধর হয়ে ওঠেন। তিনি এতদিন ধরে অনুসৃত রাজতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অগ্রাহ্য করে বৃদ্ধ অকার্যকর বাদশাহেক ব্যবহার করে সিংহাসনের ভবিষ্যত্ নিশ্চিত করেন। তিনি এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠেন যে বার্তা সংস্থা খবর প্রকাশ করে যে, তিনি শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ বাদশাহ্ হতে যাচ্ছেন। বৃদ্ধ বাদশাহ্ স্ব-ইচ্ছায় স্বজ্ঞানে দায়িত্ব হস্তান্তরে রাজি হয়েছেন। পরে অবশ্য এ খবর অস্বীকার করা হয়। তবে তিনিই যে রাজতন্ত্রের সর্বেসর্বা তথা একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মালিক এতে কোনো সন্দেহ নেই। তথাকথিত সংস্কারের নামে তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী যুবরাজদের ক্ষমতা খর্ব করেন। ধনকুবেরদের ধনরত্ন রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নিয়ে আসেন।
এতদিন রক্ষণশীলতার বা ইসলামি ধর্মমতে শাসিত সৌদি আরবে আধুনিকতার প্রচলন করেন। ব্যবসা বাণিজ্য উন্মুক্ত করেন। একরকম অবরুদ্ধ সৌদি আরব পর্যটকদের জন্য খুলে দেন। অভ্যন্তরীণ নীতিতে ব্যতিক্রমী সংস্কারের সাথে সাথে যুবরাজ আঞ্চলিক প্রাধান্য বিস্তারে অগ্রসর হন। তিনি এক্ষেত্রে যেসব কার্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তার মধ্যে রয়েছে ক) ইয়ামেনে শিয়া হুতি গোত্রের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের সূচনা; খ) কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ; গ) লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সা’দ হারিরিকে জিম্মি করে পদত্যাগের ঘোষণা আদায়; ঘ) সুন্নি দেশগুলোকে নিয়ে সৌদি সামরিক জোট গঠন; ঙ) মিসরের গণবিরোধী সামরিক সরকারকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সহায়তা দান এবং চ) মুসলিম বিশ্বের প্রধান শত্রু ইসরাইলের সঙ্গে গোপনে সম্পর্ক স্থাপন।
ইরানের শাসন ব্যবস্থায় ধর্মীয় নেতা সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। তিনি একরকম ইমাম পদবাচ্য। তিনি রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে যেকোনো সিদ্ধান্ত প্রদান অথবা বাতিলের ক্ষমতা রাখেন। তার আনুগত্য যতটা সাংবিধানিক তার চেয়েও বেশি ধর্মীয় বিধিবিধান পুষ্ট। এ ছাড়া, ইরানের সকল পর্যায়ে একরকম গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থা প্রচলিত। সেখানে নির্দিষ্ট সময়ান্তে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ধারায় সেখানে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত। নিজস্ব গণতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ইরানে ‘একের মধ্যে অনেক’ মত ও পথ পোষণের অধিকার রয়েছে। ইরানের বিপ্লব সেখানকার সামন্ত প্রথা বিলোপ করেছে। খনিজ সম্পদ, ব্যাংক, বীমা ও ভারী শিল্প জাতীয়করণ করেছে। পুঁজিবাদের অবাধ প্রতিযোগিতা সেখানে সীমিত। বিগত প্রায় চার দশক ধরে অনেক বাঁধা ও বিপত্তি অতিক্রম করে ইরান স্বকীয় ধারায় স্থিতিশীলতা অর্জন করেছে।
মূলত ইরান বনাম সৌদি আরব বাগ্যুদ্ধের সারমর্ম অনুধাবনের জন্য দুটো রাষ্ট্র নেতৃত্বের তুলনামূলক আলোচনা উপস্থাপিত হলো। ঘটনার ঘনঘটা বিচার-বিশ্লেষণ করে জনগণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে, কে আনাড়ি? অথবা কে নতুন হিটলার? সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান বিগত ২৩ নভেম্বর নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত এক সাক্ষাত্কারে ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে মধ্যপ্রাচ্যের নতুন হিটলার বলে আখ্যা দেন। উল্লেখ্য যে, দেশ দুটোর মধ্যে আঞ্চলিক প্রভাব নিয়ে যেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে, তেমনি বাগযুদ্ধও প্রবল হয়ে ওঠেছে। সিরিয়া, ইয়েমেন ও লেবানন নিয়ে তাদের রয়েছে পরস্পর বিপরীত অবস্থান। বিরোধিতার দৃশ্যমান কারণ শিয়া-সুন্নি বিতর্ক হলেও আসল কারণ ক্ষমতার দ্বন্দ্ব বলে বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন। ইসলামি রেনেসাঁর প্রবল প্রভাব, ইরান স্টাইলের বিপ্লব তথা আরব বসন্ত উদ্ভূত গণ জাগরণ নিয়ে শঙ্কিত সৌদি আরব। প্রদত্ত সাক্ষাত্কারে সৌদি যুবরাজ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মাদ বিন সালমান ইঙ্গিত দেন যে, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অধীন ইরান যেভাবে আঞ্চলিক প্রভুত্ব বিস্তার করে চলেছে তা প্রতিহত করতে হবে। যুবরাজের ভাষায়, ‘আমরা ইউরোপ থেকে এ শিক্ষাই পেয়েছি, আত্মতুষ্টি কাজে আসে না। আমরা ইরানে নতুন হিটলার দেখতে চাই না, যাতে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে সংঘটিত ঘটনাবলির পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’ সিরিয়ার যুদ্ধে অবশেষে ইরান-সমর্থিত বাশার আল আসাদ বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হওয়ায় সৌদিদের রণকৌশল মার খেয়েছে। সা’দ হারিরির সৌদি জিম্মি অবস্থা থেকে লেবাননে ফিরে যাওয়া এবং পুনরায় প্রধানমন্ত্রী পদে যোগদান সৌদি আরবের ইমেজকে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ইয়েমেনে সৌদি বাহিনী অমানবিক আচরণ করছে। এমনকি তারা দুস্থ সাধারণ মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছতেও দিচ্ছে না। এই অমানবিক আচরণে এবং অভ্যন্তরীণ নিপীড়নে সৌদি রাজতন্ত্র বিশেষত যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের ব্যক্তিগত সুনামের ক্ষতি হয়েছে।
প্রাচ্যে তথা মুসলিম বিশ্বে ইসরাইলের সাথে গোপন যোগাযোগের খবরে যুবরাজের প্রতি বৈরী জনমতের সৃষ্টি হয়েছে। ইসরাইলের সাথে নানাভাবে নানারকম যোগাযোগের প্রমাণ বার্তা সংস্থা পরিবেশন করছে। যেমন— এক. যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গত অক্টোবরে মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যত্ নিয়ে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় অন্যতম প্যানেল আলোচক ছিলেন ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক পরিচালক ইফ্রায়িম হ্যালেভি এবং প্রিন্স তুর্কি বিন ফয়সাল আল-সৌদ, যিনি সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার নেতৃত্ব দিয়েছেন ২৪ বছর। অনুষ্ঠানে তাদের আসন ছিল পাশাপাশি। দুই. ইসরাইলের জ্বালানি মন্ত্রী ইউভাল স্টাইনিতজ সম্প্রতি আর্মি রেডিওতে এক সাক্ষাত্কারে স্বীকার করেছেন যে, অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সৌদি আরব ও ইসরাইলের মধ্যে গোপন যোগাযোগ আছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন আরব মুসলিম ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সঙ্গে আমাদের গোপন যোগাযোগ আছে। কিন্তু বিষয়টি গোপন রাখা হয় অন্য পক্ষের স্বার্থের কারণে।
আমরা সম্পর্কের ক্ষেত্রে অন্য পক্ষের ইচ্ছাকে সম্মান করি, তা যদি হয় সৌদি আরব কিংবা অন্য কোনো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। তিন. গত বছর সৌদি আরবের অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আনোয়ার ইসরাইল সফরে যান। চার. সম্প্রতি ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ইজেনকত প্রথমবারের মতো সৌদি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এক সাক্ষাত্কার দেন। পাঁচ. ইরান ইস্যুতে সৌদি-ইসরাইল গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের রেকর্ড রয়েছে। ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের সামরিক ও সাইবার শক্তির সরাসরি সহায়তা পাচ্ছে সৌদি আরব— এ রকম খবর পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ছয়. স্বয়ং যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান গোপনে ইসরাইল সফর করেছেন— এমন খবরও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। যদিও সৌদি রাজতন্ত্র তা অস্বীকার করেছে। মুসলিম বিশ্ব ইসরাইলকে বরাবরই শত্রু জ্ঞান করে আসছে। শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এবং ইরানের শত্রুতা সাধনের জন্য সৌদিদের ইসরাইলের সঙ্গে এই মাখামাখি মুসলিম দেশগুলোর সাধারণ মানুষ সহজে গ্রহণ করছে না। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বিস্তার নিয়ে সৌদি আরব ও ইসরাইল দুই দেশই উদ্বিগ্ন একথা সত্য, তবে তার জন্য ইসলামের অভিভাবকত্বের দাবিদার সৌদি আরবের এমন আচরণ সংগত নয় বলেই সাধারণ মানুষ মনে করে।
হিটলার শক্তির দাপটে ধরাকে সরা জ্ঞান করেছেন। শক্তি-মদ-মত্ততা তার পতনের জন্য অনিবার্য কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তিনি মানবতাকে অস্বীকার করে হাজার হাজার ইহুদিকে গ্যাস চেম্বারে হত্যা করেছিলেন। এ ধরনের শক্তি-মদ-মত্ততা যেই প্রদর্শন করুক তা কখনোই কাম্য হতে পারে না। সৌদি আরব বা ইরান যেই মানবতার শত্রুকে প্রশ্রয় দেবে, তারাই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
লেখক :অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়
সূত্রছ দৈনিক ইত্তেফাক