• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নিষিদ্ধ রাতের গল্প...

প্রকাশ:  ০৪ জানুয়ারি ২০১৮, ০১:২২ | আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০১৮, ০১:৩৭
তমা আহম্মেদ

একজন আগন্তুক এসেছিল

উঠোন পেরিয়ে কাছারি ঘরের পাশ দিয়ে সোজা আমার শোবার ঘরে,

সম্পর্কিত খবর

    পৃথিবী তখন মরণ ঘুমে,আমি কিন্তু জেগেছিলাম!!

    আমার পাশের ঐ তেল চিটচিটে খয়েরি ওশারের বালিশটাতে শুয়েছিল সারারাত,

    চোখের পলক পড়েনি তার, নিষ্পলক চোখে তাকিয়ে পড়ছিল আমার ভিতর বাহির সবটা।

    অধর ছুঁয়েছিল বলিষ্ঠ একজোড়া হাত

    উত্তাল সাগরে বাঁধভাঙা ঢেউ,ক্ষণেক্ষণে জোয়ারের একমাত্রিক ঝাপটায় দেহমনের দুকূল ছাপিয়ে বন্যা,

    শরীর জুড়ে উষ্ণতার ঝড়ো বৃষ্টি........

    নিষিদ্ধ রাতের গল্পের শুরুটা এভাবেই হয়েছিল

    রাত কি সত্যি নিষিদ্ধ হয়?

    হয়ত হয় কিংবা হয় না, নিষিদ্ধ রাতের গল্প শেষ হয়েও হয়না।

    এরপর রাত ভোর হয়ে গিয়েছিল

    আগন্তুক চলে গেলো রাতের শেষ প্রহরে

    আমার অবশ মনের দেয়াল জুড়ে রইলো

    লবণাক্ত ঘামের গন্ধ আর তেল চিটচিটে খয়েরি ওশারের বালিশ টা,

    তারপর অনেক দিন পেরিয়ে গেলো

    আগন্তুক বলেছিল ফিরবে কিন্তু আর ফেরেনি,

    যারা চলে যায় তারা হয়ত আর ফেরেনা,

    ফেরার কথা থাকলেও ফেরেনা,ক্ষণিকের আগন্তুকও আর ফিরলো না।

    নিষিদ্ধ রাতের গল্পটার উপসংহার তবুও হলো না

    আজ আমি এক নবজাতকের জন্ম দিয়েছি

    নরম তুলতুলে একটা গোলাপি রঙয়ের পুতুল,

    ওর নাক , ঠোঁট চিবুক কিংবা কপালের কোথাও নিষিদ্ধতার ইতিহাস নেই,

    অশুদ্ধতার মাঝে যেন একতাল নরম শুদ্ধতম কাদামাটি।

    এখন আমার পাশে ছোটো ধবধবে একটা সাদা ওশারের শিমুল তুলোর বালিশ,

    একটা গোলাপি রঙা ছোট্ট পুতুল,

    আর তার ঠিক পাশেই আড়চোখে আমার অশুদ্ধ উপস্থিতি জানান দিচ্ছে সেই তেল চিটচিটে বালিশটা।

    ড্যাবড্যাব চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে, মৃদু হেসে বলছে আমি এখনো সাক্ষী থেকে গেলাম নিষিদ্ধ সেই রাতের.....

    (লেখাটি লেখিকার ব্লগ থেকে নেয়া হয়েছে)

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close