যশোরে ভণ্ড সাধুর কাণ্ড, ছাত্রীর মৃত্যু
যশোরের মনিরামপুরে শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চ সরাতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে নুপুর বৈরাগী (৬) নামে প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। পরে তাকে বাঁচানোর কথা বলে লাশ আটকে রাখে বিদ্যুৎ ঘোষাই নামে কথিক এক সাধু।
বৃহস্পতিবার উপজেলার কুশখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেঞ্চ সরাতে গিয়ে নুপুর বৈরাগীর মৃত্যু হয়। সে কুশখালী গ্রামের একান্ত বৈরাগীর মেয়ে।
সম্পর্কিত খবর
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে নুপুর বৈরাগী ওই স্কুলের শ্রেণি কক্ষের বেঞ্চ সরিয়ে বসতে যায়। এ সময় পা পিঁছলে পড়ে গিয়ে মাথায় বেঞ্চের আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। এ সময় চিকিৎসক নুপুর বৈরাগীকে মৃত ঘোষনা করেন।
জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান বলেন, বেঞ্চ সরাতে গিয়ে নুপুর মাথা ঘুরে বেঞ্চের উপর পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত কারন উদঘাটন করা হবে।
এদিকে বিদ্যুৎ ঘোষাই নামের এক কথিত সাধু মৃত নুপুর বৈরাগীকে বাঁচানোর কথা বলে তার (নুপুর) মরদেহ ওই গ্রামের হাজরাতলা ধাম নামক স্থানে কচা তলায় ২ ঘণ্টা আটকিয়ে রাখে। এ সময় গণমাধ্যম কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হলে কথিত সাধু বিদ্যুৎ দ্রুত সেখান থেকে সটকে পড়ে।
বিদ্যুৎ ঘোষাই গয়ারখোলা গ্রামের গণেশ মন্ডলের ছেলে। বিদ্যুৎ ঘোষাইয়ের ব্যবহৃত (০১৯১৯৪৮০৩১৬) মোবাইলে কথা বললে তিনি নিজেকে সাধু দাবি করে বলেন, বাচ্চাদের আমি খুবই স্নেহ করেন। এ কারণে তাকে (মৃত নুপুর) কঁচা তলায় নিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলাম।