সোলার বিদ্যুতে আলোকিত হবে দেশের ৭ সিটি
‘স্ট্রিট-লাইটিং প্রোগ্রাম (সোলার-নন সোলার) ইন সেভেন সিটি করপোরেশন’ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা উত্তর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল ও রংপুর সিটি করপোরেশনের সড়কে প্রচলিত স্ট্রিট লাইটের পরিবর্তে এলইডি লাইট স্থাপন করা হবে।
হাজারও এলইডি (হাল্কা এমিটিং ডিত্তড) লাইটের আলোয় আলোকিত হবে দেশের এই ৭টি মেগা সিটির সড়ক। সৌর শক্তির মাধ্যমে এসব বাতি জ্বলবে। ফলে বছরে ২ কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।
সম্পর্কিত খবর
বিদ্যুৎ বিল হ্রাস করাসহ গ্রিন এনার্জি জেনারেশন বৃদ্ধি ও কার্বন নির্গমন কমানোর জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ ও সিটি করপোরেশন ।
বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতেই ৭ সিটি করপোরেশনে এলইডি লাইট। স্ট্রিট লাইটের ধারাবাহিকতা থেকে জানা যায়, আগেও নরমাল বাতিতে ৬০ থেকে ১৬০ ওয়াট বিদ্যুৎ লাগতো। এটার পরে আসলো টিউব লাইট। এটাতেও ভালো বিদ্যুৎ লাগতো। এছাড়া পরিবেশের জন্যইও এগুলো সুবিধা ছিলো না। তাই ৭ সিটি জুড়ে থাকবে এলইডি লাইট। ফলে বিদ্যুৎ ব্যবহার হবে মাত্র ৩, ৫ ও ৬ ওয়াট। আলোও হবে স্বচ্ছ। এই লাইট কার্বন নির্গমন হয় না বলে এটি ‘পরিবেশ বান্ধব’ বলে জানান বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল।
তিনি জানান, প্রয়োজন অনুযায়ী ৭ সিটিতে ২০ কিলোমিটার সোলার বেজড এলইডি লাইট স্থাপন করা হবে। ফলে সড়কজুড়ে ১ হাজার ২৪৪ সেট এলইটি লাইট থাকবে। ২০০ কিলোমিটার নন সোলার বেজড এলইডি স্ট্রিট লাইট সিস্টেম থাকবে। এই সড়কজুড়ে এলইডি লাইট থাকবে ১২ হাজার ১৮৫ সেট। প্রয়োজন অনুযায়ী এলইডি লাইট ব্যবহার করা হবে। ডিসেম্বর ২০১৮ সালের মধেই এসব এলইডি লাইট ৭ সিটি করপোরেশন সড়ক আলোকিত করবে।
এলইডি টেকনোলজি প্রযুক্তির জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ঋণ দিচ্ছে ২৩৬ কোটি টাকা । প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩১৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা। তবে প্রকল্পটির মূল অনুমোদিত মেয়াদ ছিল জানুয়ারি ২০১২ থেকে ডিসেম্বর ২০১৫ সাল নাগাদ। প্রথম সংশোধনীতে প্রকল্পের মেয়াদ ডিসেম্বর ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এ পর্যন্ত ৬ বছরে প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ২৭ কোটি ৭১ লাখ বা ১২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এছাড়া বাস্তব অগ্রগতি মাত্র ৩৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, বর্তমানে এডিবি’র কাছ থেকে ২৩৬ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। ফলে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৭ সিটির ২২০ কিলোমিটার সড়কে এলইডি বাতি স্থাপন করা সম্ভব হবে বলে।
আরআর