• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

শিশুদের জানাতে হবে আমাদেরই কথা আমাদেরই ভাষায়

প্রকাশ:  ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৮:৫২ | আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৯:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক

একুশের গ্রন্থমেলা।শিশু প্রহর মানেই খুদে পাঠকদের বই কেনার ব্যস্ততা। তবে সচেতন পাঠক অভিভাবকরা বলেন, আমাদের শিশুদের জানাতে হবে আমাদের কথা আমাদেরই ভাষায়।

শিশুদের বই সম্পর্কে লেখক কাজী তানভির আলাদিন বলেন, শিশুদের উপযোগী বই আরো বেশি প্রকাশ করা উচিত্। তাছাড়া শিশুদের বই ছাপানোর ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেয়া দরকার, যাতে করে শিশুরা কম মূ্ল্যে বই কিনতে পারে। শিশুদের বই প্রকাশের ক্ষেত্রে বানিজ্যিক চিন্তা না করে সেবার চিন্তা করাই উচিৎ। পাশাপাশি গল্প-উপন্যাস, ছড়া-কবিতা ও নাটকের মাধ্যমে মানবিকও সামাজিক মূল্যবোধ সম্পন্ন বই প্রকাশকে প্রাধান্য দেয়া উচিৎ। ওরা নিজেকে জানতে হবে, সেই জানাটি হোক বাঙালির হাজার বছরের সমৃ্দ্ধ ইতিহাস ও গল্প নির্ভর। পাশাপাশি শিশুরা বিদেশী শিশুতোষ সাহিত্যের অনুবাদ পড়ে বিশ্বকে জানুক, তাই তাদের উপযোগী গ্রন্থগুলোকে অনুবাদ করে বেশি-বেশি প্রকাশ করতে হবে যেনো সেতুবন্ধ তৈরী হয় বিশ্ব সাহিত্যের সঙ্গে। সাহিত্যের ভেতর দিয়ে বলতে হবে জাঙ্কফুড ফাস্টফুড আমাদের ছিলোনা, ওগুলো খাচ্ছো যে জেনে রেখো তা কিন্তু আমদানি করা অনেকটা সিন্দাবাদের ভূতের মতো আমোদের ঘাঁড়ে এসে বসেছে, আমাদের আছে মা-দাদি-নানীর হাতে পিঠা-পুলির বিশাল সমাহার...। আমাদের শিশুদের জানাতে হবে আমাদেরই কথা আমাদেরই ভাষায়, টুনা-টুনির ফাঁকিবাজীর গল্প বাদ দিয়ে নৈতিক গল্প শোনাতে হবে, তবেই মাদক ও দুর্নীতি মুক্ত দেশ ও বিশ্ব পাবে তারা...।

সম্পর্কিত খবর

    খুদে পাঠকদের কথা চিন্তা করে প্রকাশনীগুলোও শিশুদের উপযোগী বিভিন্ন ধরনের বই নিয়ে পসরা সাজিয়েছে । সাজিয়েছেন দৈত্য-দানো আর জ্বীন-পরিসহ নানান ধরনের বই। তবে শিশুদের আগ্রহে সবসময়ই প্রাধান্য পায় কার্টুন আর ভূত-পেত্নীর বই।

    শিশুদের পছন্দের কোন বই সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রকাশকরা জানান, কার্টুন আর গল্পের বইয়ের কথা। তবে এর বাইরেও আছে বেশ কিছু কল্পকাহিনী আর তথ্য নির্ভর বইয়ের চাহিদা। রয়েছে কিশোর উপন্যাস, রম্যগল্পও।

    ড.জ্যোৎস্নালিপির লেখা ‘ভালোদাদু’ একটি শিশুতোষ গল্পের বই। বইটিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের হত্যার ঘটনাটিকে রূপক অর্থে তুলে ধরা হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে নন্দিতা প্রকাশ।

    শিশুদের আগ্রহ এবং বই নিয়ে ড.জ্যোৎস্নালিপি বলেন, শিশুদের জন্য লিখতে ভালো লাগে, লেখার ভেতর দিয়েই আমি আমার শৈশবকে খুঁজে পাই। শিশুসাহিত্যের পরিসর অনেক বড় হলেও শিশুদের উপযোগী লেখা তুলনামূলক কম।তবে আমরা যারা লিখি তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে আমাদের আগামী প্রজন্মের দিকে খেয়াল রাখা। ইতিহাস ঐতিহ্য শিশুদের কাছে আমাদেরকেই তুলে ধরতে হবে। বই পড়ায় শিশুদের আগ্রহ ধরে রাখার জন্য আমাদেরকে পরিকল্পতভাবে কাজ করতে হবে।

    বই বাজার প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধীকারী রবিন আহমেদ জানান, বানিজ্যিক চিন্তার কারণে শিশু সাহিত্যের প্রসার হচ্ছে না।তবে শিশুদের উপযোগী বই যথেষ্ট রয়েছে।নতুন লেখকরা বেশ আগ্রহের সঙ্গেই শিশুদের জন্য নতুন নতুন লেখা লিখছেন। শিশুরা তা পছন্দও করছে, অভিভাবকরাও বলছেন ভালো।

    /আজাদ

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close